parbattanews

থানচিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলায় গত ২২ ও ২৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে বলি বাজার ও থানচি বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ব্যাস্ততম এই বাজার দুটি গত ৫ বছরের মধ্যে দু’বার করে আগুনে পুড়ে ছাই হয়। বাজার দুটিতে রয়েছে ছোট বড়, ইট ও কাঠের তৈরি কয়েক শতাধিক দোকান। জেলা পরিষদের বাজার ফান্ডের অনুমতিক্রমে গড়ে উঠা এসব দোকান নির্মাণে মানা হয় নি কোন নীতিমালা। ফলে বিগত দিনের তুলনায় এসব বাজার হয়ে উঠেছে ঘনবসতিপূর্ণ দোকান। বেড়েছে গ্যাসের চুলার ব্যবহারও। তাই অসাবধানতার কারণে এসব চুলা থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।

বিগত কয়েক দিনের ব্যাবধানে থানচি বাজারে কয়েক দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে যান। এসময় তদন্ত কমিটি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান-পাট ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের বিভিন্ন বিষয় চিহ্নিত করেন।

প্রাথমিকভাবে তদন্ত কমিটি ধারণা করেন ঘনবসতিপূর্ণ দোকান নির্মাণ, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকা, স্থানীয়দের অনেকেই নিরাপদ এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহা. আবুল মনসুর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেতু কুমার বড়ুয়া, থানচি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রো, থানচি থানার উপপরিদর্শক এসআই ইয়াছিন আরাফাত, ফায়ার সার্ভিসের সিভির ডিফেন্স ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পেয়ার আহম্মদ, থানচি বাজার পরিচালনা কমিটি সাবেক সভাপতি স্বপন কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বিজিবি প্রতিনিধিসহ বাজার কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং তদন্ত কমিটি প্রধান মুহা. আবুল মনসুর সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়েছে দোকান, ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার সম্পদ, এরই মধ্যে ক্ষতির চিহ্ন মুছে নতুনভাবে দোকান নির্মাণে ব্যাস্ত। সংশ্লিষ্টদের ধারণা পূর্বের ক্ষতির কারণ অবুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই সামলানো সহজ হবে। সুতরাং আপতত সমস্যা নিরূপন না হওয়ার পর্যন্ত দোকান ঘর নির্মাণ স্থগিত রাখা অনুরোধক্রমে নির্দেশ করে প্রশাসন।

Exit mobile version