থানচিতে অতিরিক্তদের দখলে প্রশাসনিক কার্যালয়

বান্দরবানে থানচি উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনে অধীনস্থ ন্যাস্ত বিভাগ দপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে (অঃ দাঃ) । এক সময় ভারপ্রাপ্ত (ভাঃপ্রাঃ) থাকলেও তা বাদ দিয়ে চলতি দায়িত্বে (চঃদাঃ) গত ৪/৫ বছর ধরে (অঃদাঃ) দের দখলে । অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকায় কর্মকর্তারা নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে পাওয়ার কর্মস্থলে অনুপস্থিতি থাকেন। শুধুমাত্র আইন শৃংঙ্খলা ও মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহন করা ছাড়া সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন বা বিশেষ কাজ ছাড়া তাদের দেখা মিলেনা সাধারণ সেবা গ্রহণকারীদের । অঃদাঃ কর্মকর্তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে কর্মচারি অনিয়ম উপস্থিতির কারণে উপজেলায় সাধারণ জনগনের সুস্থভাবে সরকারি সেবাগুলি হতে বঞ্চিত হচ্ছে ।

স্বধীনতার ৪৭ বছরে এ অনিয়মগুলি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষে সমাধানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়নি। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে বেতন, বিভিন্ন টি.এ / ডি.এ ও ভাতা নিতে কিন্তু ভূল করেনা।

থানচি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের ন্যস্ত বিভাগের থানচি উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার অঃদাঃ, বান্দরবান সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা চঃদাঃ। কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরে কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান রুমা উপজেলা চঃদাঃ, থানচিতে অঃদাঃ পালন করছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মংটিংঞো জেলা সহকারী সিভিল সার্জন, থানচি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার অঃদাঃ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুপন চাকমা, রুমা উপজেলা চঃদাঃ থানচি উপজেলা অঃ দাঃ, জেলার পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান চৌধুরী চঃদাঃ থানচি উপজেলা অঃদাঃ পালন করেন ।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান তিনি থানচি উপজেরা অঃদাঃ আছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তরুন চাকমা চঃদাঃ থানচি উপজেলা অঃ দাঃ পালন করছেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল হোসেন বান্দরবান সদরে চঃদাঃ থানচি ও রুমা আরো দুই উপজেলা অঃ দাঃ কর্মরত, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান থানচি উপজেলা এক টানা ২০ বছর তিনি পাশ্ববর্তী রুমা ও লামা দুই উপজেলা অঃদাঃ থাকায় তিনি থানচিতে গত কয়েক বছর যাবৎ মাসিক সমন্বয় সভায় পর্যন্ত উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

তাছাড়া যুব উন্নয়ন অফিসার নুপ্রুচিং মারমা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুদক্ত চাকমা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অনাদির রজ্ঞন বড়ূয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আসলাম হোসেন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তপন ভৌমিক, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ হাদিউর রহমান, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইনস্পেকটর সাকির আমিন, উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার (শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্প) জাহেদুল ইসলাম, সকলের থানচি উপজেলা চঃ দাঃ, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফকরুল উদ্দিন রাজিব, উপজেলা তথ্য সেবা কেন্দ্র তথ্য আপা নামে পরিচিত মিশুক আপা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আহম্মদ চৌধুরী চঃদাঃ পালন করছেন তাদের প্রত্যেকে মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জরুরী আদেশ বা বিশেষ কাজ থাকলে থানচিতে মেহমান হিসেবে দিনে আসে কাজ শেষে দিনে চলে যাওয়া অভ্যাসের পরিণত হয়েছেন।

এছাড়া থানচি উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার পদটি শূন্য রয়েছে। এদিকে গত ১৬ হতে আগামি ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল একটি প্রশিক্ষনে বিদেশ সফর করছেন। তার স্থলে রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সামশুল আলম অঃদাঃ পালন করছেন।

থানচি উপজেলা দায়িত্ব প্রশাসনিক অফিসের আসেন নি তিনি । তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ গুলিতে টিআর কাবিখা, কালবার্ট ব্রীজ নির্মাণ কাজের তদারকি ব্যস্ত রয়েছে এবং সব সময় উপস্থিত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলের অবস্থানের থেকে জনগনের সেবা দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা কর্মচারীরা এভাবে জনগনে সাথে প্রতারণা করছেন বলে থানচিবাসীদের অভিমত।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর বীর বাহাদুর (উশৈসিং) এমপি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি বিশাল উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ৪ তলা ভবন প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ের ২০১৪ সালে নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছেন তা ২০১৮ সালে ২৭শে সেপ্টেম্বর উদ্বোধন ও পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, অফিসার ও সকল কর্মচারীদের বসার চেয়ার টেবিল সকল আসবাবপত্র সরবরাহ করেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ ইন্টারনেট এর ওয়াইফাই আওতাসহ সকল ব্যবস্থা করেই উন্মুক্ত করা হয়েছে ।

এই প্রতিবেদক বুধ বৃহস্পতিবার ২দিন ব্যাপী সরেজমিনে গেলে থানচি উপজেলা পরিষদের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর দেখা না মিললেও সমাজ সেবা, মহিলা বিষয়ক, কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় খোলা দেখা গেছে। কর্মকর্তা দেখা না মিললেও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা রয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী সুরেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, আমাদের অফিসের এটিও, টিওসহ সব মিলে ৬/৭ জন রয়েছে তারা সকলে নেই বাইরে গেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সিও কাম ইউএনও (সহকারী প্রধান) তপন দাশের সাথে দেখা হলে তিনি বলেন আমাদের স্যার বিদেশ সফরে আছেন তার পরিবর্তে রুমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার আছেন তিনি ও আমাদের কয়েকজন কর্মচারি অফিসের কাজে বান্দরবানে গেছেন। অন্যান্য কর্মকর্তাদের বেলা আপনি ঘুরে দেখেন আমি কিছু বলতে পারবনা বললে জানান।