parbattanews

থানচিতে কলার বাম্পার ফলন

থানচি প্রতিনিধি:

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় ব্যাপক উৎপাদিত ও বাম্পার ফলন হচ্ছে কলার । থানচির উপজেলা বিভিন্ন জাতের উৎপাদিত কলা এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনই থানচি বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে কলা বিক্রি করতে আসেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কৃষকরা। সপ্তাহে চার দিন থানচি বাজারে,  রবি ও বুধ বার বলিপাড়া বাজারে ও শনি-মঙ্গল  দুই বাজার পরিণত হয় কলার হাটে।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে কলা আসতে থাকে থানচি বাজারে। এখান থেকেই বান্দরবান, সাতকানিয়া, দোহাজারি, আমিরাবাদ, পটিয়া, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে পাইকারি হিসেবে কম দামে কলা ক্রয় করেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে ব্যবসায়ীরা তাদের ক্রয় করা কলা সন্ধ্যায় ট্রাক ও পিকআপে করে নিয়ে যায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে । হাট-বাজারের দিনের কম হলেও ৫-৬ ট্রাক ও পিকআপে করে কলা কিনে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।

বাজারে কলা নিয়ে বসার জন্য কৃষকদের ছড়াপ্রতি ট্যাক্স দিতে হয় ২ টাকা। এছাড়াও কলা দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবসায়ীদের ও আরেক দফায় টোল দিতে হয় । উপজেলার বড় বদক, রেমাক্রী, তিন্দু, নারিকেল পাড়া, ছান্দাক পাড়া, জিনিঅং পাড়া, আরো অনেক পাশ্ববর্তী পাড়া থেকে কলা বিক্রি করতে নিয়ে আসেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কৃষকেরা। উৎপাদিত কলা ছেয়ে গেছে থানচির ও বলিপাড়া বাজার।

উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, চলতি মৌসুমে থানচি উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে তিন হাজার পাঁচশত কৃষক কলা চাষ করছে । লক্ষ্যমাত্রা চেয়েও এ বছরে দ্ধিগুন কলা চাষ হয়েছে  এবার থানচি উপজেলা ব্যাপী কলা বাম্পা ফলন হয়েছে । খিবুরী পাড়া কলা চাষী খিবুরী মারমা জানান, কম খরচে কলা চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়, ব্যাপক করা চাহিদা থাকায় বিক্রি ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয় না তবে এবারে একটু দর কম পাচ্ছি । বড় মদকের কলা চাষী রেংতং ম্রো জানান,কলা বাম্পা ফলন হলেও যোগাযোগের অসুবিধার কারণে নায্য মূল্য পচ্ছে না তারা । পালাকওয়া ম্রো জানালেন, রেমাক্রী ইউনিয়ন পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ হলে  আমাদের স্বাবলম্বী হওয়া থেকে কেউ ঠেকাতে পারবেনা।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সত্যজিত দাশ বলেন, এ অঞ্চলে মাটি এবং আবাহওয়া কলা চাষের জন্য অত্যন্ত  উপযোগী। বহু জাতে কলা উৎপাদন হলেও থানচিতে মূলত বাংলা,চম্পা ও অনাদি কলার উৎপাদন বেশী।

Exit mobile version