parbattanews

থানচিতে মুুজিববর্ষে পারিবারিক সবজি চাষের সাফল্যে ৬৪ কৃষক

মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষে স্থাপিত পারিবারিক কৃষি আওতায় পুষ্টি সবজি বাগান স্থাপনের প্রনোদনা কর্মসূচি

বান্দরবানে থানচিতে করোনা পরিস্থিতির সময়ে পারিবারিক সবজি বাগান করে সাফল্য পেয়েছে থানচি উপজেলা সদরে বাসিন্দা নাছিমা বেগম ৫৪। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাড়ির আঙ্গিনায় গেল জুলাই মাসের পরিবারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ ও পরিচর্চা ফলে তাদের পরিবারে কোন প্রকার সবজি ক্রয় করতে হয়নি এবং অবশিষ্ট বাজারে বিক্রি করে ১০ হাজার লাভবান হয়েছে ।

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল বাড়ীর আঙ্গিনায় একটি জায়গাও খালি থাকবেনা । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ ও মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষে স্থাপিত পারিবারিক কৃষি আওতায় পুষ্টি সবজি বাগান স্থাপনের প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় আনা হয় থানচি উপজেলা দুই ইউনিয়নের ৬৪ পরিবারকে ।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানান যায়, থানচি সদর ইউনিয়ন ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ৬টি ব্লকের ৬৪ জন কৃষকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রনোদনা হিসেবে বিকাশের মাধ্যমে ১ হাজার ৯শত ৪৫ টাকা প্রতি কৃষকদের মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতি কৃষককে এক প্যাকেট করে লাল শাক, পুইশাক, ডাটা শাক, ডেরস, কর্মী শাক, লাউ, জেড কদু, বরবতি, ধন্যাপাতা, জিনগা, পালন শাকের বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

এছাড়াও বাগান পরিচর্চার জন্য ৫শত টাকা, ঘেড়াওয়ের জন্য ১ হাজার টাকা, সার ও কীটনাশকের জন্য ৪৪৫ টাকা, খরচ করার জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে এক দিনে প্রশিক্ষণ এবং বিনামূল্যে একটি করে প্রদর্শণী সাইনবোর্ড প্রদান করা হয়।

রাজবাড়ী ফরিপুরের নাছিমা বেগম, স্বাধীনতা পরবর্তীতে তার স্বামী নূর মোহাম্মদের সাথে পাহাড়ে থানচি রুমা উপজেলা বসবাস করতেন। বর্তমানে তাদের পরিবারে দুই সন্তান রয়েছে। প্রথমটি মেয়ে সেতারা পারভিন ইভা বান্দরবান সরকারি কলেজের বিএ অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। ২য় ছেলে মোহাম্মদ ইমন বান্দরবান সরকারি কলেজের ইন্টারমেডিয়েট ২০২০ সালে পরীক্ষার্থী ছিলেন ।

কৃষি বিভাগের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষি উৎসব উপলক্ষে স্থাপিত পারিবারিক কৃষি আওতায় পুষ্টি সবজি বাগান স্থাপনের প্রনোদনা কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা দুই ইউনিয়নের ৬ ব্লকের ৬জন উপসহকারী কৃষি অফিসার যথাক্রমে বিশ্বজিত দাশ গুপ্ত, উত্তম মারমা, টুটন ভাট্টচার্য্য, অমরজিদ দে, অনুজিদ দাশ গুপ্ত, মংচপ্রু মারমা।

সকলে প্রতিটি কৃষকদের রুটিং মাফিক বাড়িতে গিয়ে হাতে নাতে সার ও কীটনাষক বীজ প্রয়োগ, পরিচর্চাসহ নানা সুবিধা অসুবিধাগুলি পথপ্রদর্শণ করানো হয় ।

উপসহকারী কৃষি অফিসার অমরজিদ দে জানান,যেহেতু মুজিব বর্ষের উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা বাস্তবায়নের আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়েছি এবং সাফল্য ও অর্জন করেছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করেন তিনি।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জন্মশত বর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা ২০২০ সালে আমাদের পিতার নামে উসর্গ করতে পেরে কৃষকদের সেবা দিতে পেরে এবং অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে সফলতা সাথে স্বার্থক সাফল্য হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের চাকুরী থাকবে ততদিন পর্যন্ত এইভাবে সরকারি কাজে দায়িত্বশীল ও নির্ভশীলভাবে কাজ করে যাবো এই প্রতিজ্ঞা করি ।

Exit mobile version