ডায়রিয়ার পরে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বান্দরবানের থানচি উপজেলা দুর্গম পাহাড়ি মহল্লাগুলিতে। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বিছিন্নের কারণে অনেকে থানচি উপজেলা সদরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভর্তি না হয়ে নিজ নিজ বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
গত এক সপ্তাহব্যাপী থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২০ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভর্তি হওয়া আক্রান্তরা চিকিৎসা পেলেও দুর্গম অঞ্চলে আক্রান্তরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈতুই মারমা বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের ইউনিয়নের বড় মদক এলাকা প্রুসাঅং কারবারী পাড়া ৭-৮ জন ছোট মদক সাখয়উ কারবারী পাড়া ৭-৮ জন প্রথমে সামান্য জ্বর পরে ম্যালেরিয়া বলে জানা যায়। কয়েকজন থানচি সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে ।
এদিকে তিন্দুৃ ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে কয়েকটি পাড়া ছাড়াও ফোসাউ কারবারী পাড়ায় কয়েকজন ম্যালেরিয়া আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও থানচি সদর ইউনিয়নের টুকটং পাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ও প্রাদুর্ভাব এর খবর পাওয়া গিয়েছে ।
এলাকাবাসীরা জানান, বর্ষার মৌসুমে মশার উপদ্রপ বেশি অনেক পরিবারের মশারি না থাকায় জঙ্গল হতে মশার কামরে এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, বর্ষার মৌসুমে মশার উপদ্রপ বেশি পাহাড়ে মানুষ জুমে কাজ করেন সেখানে মশা কামর দিতে পারে তাছাড়াও বাড়ীতে কামর দিতে পারে। সে জন্য ম্যালেরিয়া দেখা দিয়েছে। আমাদের কমপ্লেক্স এর ভর্তি হলে আমরা দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা করে থাকি। আমাদের কমপ্লেক্স জনবল স্বল্পতা রয়েছে তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।
