parbattanews

থানচিতে সার্বজনীন গঙ্গা পূজা ও স্নান শোভাযাত্রা

পাহড়ি বাঙালি ও সকল জাতির সমাগমন ও এক মিলন মেলা সার্বজনীন গঙ্গাঁ পূজা ও স্নান শুরু হয়েছে।তিন দিন ব্যাপী গঙ্গাঁ পূজা ও গঙ্গাঁ মায়ের  স্নান একটি সম্প্রীতি উৎসবের পরিনত হয়েছে বলে দাবী থানচি উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা হতে এই গঙ্গাঁ পূজা এবং স্নান শোভাযাত্রা শুরু হয়।

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে থানচিতে শংঙ্খ নদীর ঘাঁটে ২৪, ২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩ দিনব্যাপী সার্বজনীন গঙ্গা স্নান, গঙ্গাঁ পূজা উৎসব দ্ধাদশ বারের মতো আয়োজন করেছে স্বনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়।

আয়োজকরা জানান, পাহাড়ে জুম চাষ .থানচি উপজেলা ৬টি বাজারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহ শংঙ্খ নদীর পথে যান যাত্রীদের নিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ছোট ছোট নৌকা পর্যটক ও জনসাধারণ নিয়ে যাতায়াত করে।

তাদের বিশ্বাস শংঙ্খ নদীতে দর্শণ করেন গংঙ্গাঁ মাকে প্রতিমা তৈরী করে স্নান এবং পূজা করে সকলের আর্শীবাদক হবেন। এবং সকল সম্প্রদায়ের আপদ বিপদে মুক্তির এক মাত্র পন্থা ।

আয়োজক কমিটির সভাপতি মিন্টু কান্তি দাশ জানান, ২০০৭ সালে প্রথম শুরুর করেছি এই পূজা এবারে ১২তম বছর। প্রতিমা বিসর্জন, দেড় হাজারে ও বেশী ভক্তদের প্রসাদ ও ৫শত ছাগল বলি দিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় হিন্দু সম্প্রদায়ের আয়োজনের অসম্প্রদায়িকতায় এক যোগে সার্বজনীন গঙ্গা স্নান ,গঙ্গা পূজা উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

শংঙ্খ নদীর তীরের এক তীর্থ স্থানের আর্শীবাদক করার ধর্মদেশনা এক মাত্র প্রয়াসজে থানচি উপজেলার অবস্থানরত বিভিন্ন ধর্মীয় গন্যমান্য জন প্রতিনিধি ও সরকারি বেসরকারি দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন করেন।

সোমবার( ২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা উপজেলা কেন্দ্রীয় কালি মন্দির একটি শোভাযাত্রা অংশ নেন এবং থানচি উপজেলা কৃতিসন্তান ও শিক্ষানুরাগী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লামং মারমা প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে পূজা উৎসব শুভ উদ্ভোধন করেন ।

এ সময় উদযাপন কমিটি সাধারণ সম্পাদক উমাকান্ত কর্মকারের সঞ্চালনের থানচি বাজার প্রাঙ্গনের আয়োজক কমিটি সভাপতি মিন্টু কান্তি দাশের সভাপতিত্বে অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মীয় নেতা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন কুমার বিশ্বাস, মৃদুল কান্তি দাশ,যুব লীগের নেতা আশীষ কুমার দাশ , সুমন কর্মকার,জন্তু কর্মকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।

এ সময় উপজেলা সকল সম্প্রদায়ের নেতৃবর্গদের গন্যমান্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত হয়ে প্রতিমায় পূজা ও স্নাঙ্গে অংশগ্রহন করে আর্শীবাদক গ্রহনের সুযোগ রয়েছে বলে পূঁজা উদযাপন কমিটি পক্ষে জানা যায়।

Exit mobile version