থানচিতে সাড়ে তিনলাখ টাকা ও মটরসাইকেলসহ তিন ব্যবসায়ী অপহৃত: ত্রিপুরা যুবক আটক

fec-image

অপহরণ

স্টাফ রিপোর্টার:

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার আলীকদম-থানচি সড়কের ২৮ কিলো নামক স্থান থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ও মটরসােইকেল ৩ ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। থানচি থানা পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে জন ত্রিপুরা নামে এক উপজাতীয় যুবককে আটক করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। অপহৃত আবু বক্করের ভাই মো: ইয়াসিন বাদী হয়ে থানছি থানায় অপহরনের ডায়রী করেছে।

সূত্র মতে, থানচি বাজারের জন ত্রিপুরা ও তার সঙ্গীরা আলীকদম উপজেলার দুই গরু ব্যবসায়ীকে থানচিতে তাদের কাছে ৯ টি গরু আছে জানিয়ে ত লাখ টাকা নিয়ে থানচিতে আসার জন্য ফোন করে। তাদের ফোন পেয়ে আলীকদম থেকে দুই গরু ব্যবসায়ী তিন লাখ টাকা নিয়ে একটি ভাড়া মটরসাইকেলে করে শুক্রবার সকালে সাড়ে নয়টার দিকে থানচি বাজারে এসে পৌঁছায়। এরা হলো মো: আবু বক্কর (৪০), আবসার আলী (৩৫) ও মো: সাহাবুদ্দিন (৩২)। এদের সবার বাড়ি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনে সরবরাহের কাজ করতো।

এরপর টেলিফোনকারীদের সাথে নিয়ে গরু দেখতে থানচি সদর থেকে দুই কিলো দুরে থানচি- আলীকদম সড়কের ২৮ কিলো নামক স্থানে যায়।

সূত্র জানিয়েছে, সেখানে গিয়ে গরু ব্যবসায়ীরা আলীকদমে ফোন করে গেরু কেনার জন্য আরো ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে দুই গরু ব্যবসায়ী, মটরসাইকেল চালক ও তাদের বহনকারী মটরসাইকেলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গরুগুলো আলীকদম সেনা জোনে সরবরাহের জন্য উক্ত ব্যবসায়ীদ্বয় সংগ্রহ করার চেষ্টা করছিলো বলে জানা গেছে।

এদিকে একদিন পার হয়ে গেলেও ব্যবসায়ীরা বাড়ি না ফেরায় আলীকদম থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা থানচি এসে ব্যবসায়ীদের খোঁজ করে না পেয়ে পুলিশে শনিবার বিকালে অপহরণের ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে।

পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে থানচি বাজার থেকে জন ত্রিপুরা নামের এক উপজাতীয় যুবককে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান চহ্লা চিং মারমা পার্বত্যনিউজের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বাইরে থাকায় আজ বিকালে থানচি ফিরে থানার ওসিকে ফোন করে কিছুটা জেনেছি। বর্তমানে আটক যুবককে নিয়ে ওসিসহ সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলের আশেপাশে অভিযান পরিচালনা করছে বলে আমি জেনেছি।

এদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে থানচি থানার ওসির মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 উল্লেখ্য এর আগে এমএনপি নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা ডিম পাহাড়সহ আশেপাশের এলাকায় অপহরণ, গুম, হত্যাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতো। ওই  সংগঠনটির সদস্যরা গত বছর সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। তবে থানছি এলাকায় ত্রিপুরা বাহিনী নতুন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা বর্তমানে অপহরণ চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন