থানচিতে স্কেভেটর দিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন

fec-image

বান্দরবানের থানচিতে পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সাঙ্গু নদী থেকে প্রতিনিয়ত উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। আর এ উত্তোনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারী যন্ত্র (স্কেভেটর)। থানচি ব্রিজের দেড়শ গজের মধ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা হলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এদিকে ভারী যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে রয়েছে ফসলি জমি, সাঙ্গু নদীর ব্রিজ ও থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমতলী পাড়ার নদীর চরে বিশাল বিশাল কয়েকটি বালুর স্তুপ। একটি বড় স্কেভেটর চর থেকে বালু কেটে স্তুপ করছে। ফলে চরগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এদিকে বালুর পরিবহণের জন্য লাইন ধরে আছে ঢাকা মেট্রো ল- ১৮৯, লট নং- ৬৪, চট্টমেট্রো ন-৭১সহ ৬-৭টি ট্রাক।

বালুর স্তুপ করার কাজে নিয়োজিত স্কেভেটর চালক মো. মোরশেদুল আলম (২৫) বলেন, স্কেভেটরটি চট্টগ্রামের সুজন ঠিকাদারের। তিনি থানচি লিক্রে সড়কের ঠিকাদার। তার অধীনে আমি কাজ করি।

এছাড়াও বালু পরিবহণের কাজে নিয়োজিত ট্রাক চালক মো. হাসান (৪০) ও মো. হিরো আলম (৫০) বলেন, আমরা সুজন ঠিকারের সাইটে বালু নিয়ে যাই। বালু কি বৈধভাবে উত্তোলন করছে নাকি অবৈধভাবে সেটা আমরা জানিনা।

হেলি প্যাড এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার মংচিংসা মারমা বলেন, একদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাইরে যেতে পারছিনা অন্যদিকে তীব্র তাপদাহ। এরমধ্যে বাড়ির পাশ দিয়ে ভোর বেলা থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ট্রাকের ধোঁয়া ও ধুলো-বালু যন্ত্রণায় অসহ্য হয়ে গেছি।

আমতলী পাড়ার বাসিন্দা উচিংমং মারমা বলেন, সারাদিন জুমে কাজ করে একটু শান্তিতে ঘুমাবো এ সুযোগও পাচ্ছিনা। মসজিদের আযান দেয়ার পর পরই ট্রাকগুলো বালু টানার জন্য নেমে পড়ে। ট্রাকের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও এভাবে চর কেটে স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদীতে সুষ্টি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। এতে করে আসছে বর্ষায় ফসলি জমিসহ নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে। এটি বন্ধ করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: থানচিতে, স্কেভেটর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন