থাপ্পড়ে বাড়বে সৌন্দর্য!

fec-image

যারা একটু বেশি সৌন্দর্য সচেতন, তারা ত্বকের মালিন্য দূর করতে ফেসিয়ালের পাশাপাশি ঘরোয়া অনেক উপায়ও ব্যবহার করেন। আ জেনে অবাক হলেও সত্যি যে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বিশ্বে থাপ্পড় থেরাপির মতো অদ্ভুত থেরাপিও প্রচলিত আছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জিনিউজের প্রতিবেদনে জানা গেছে, চড় মেরে মানুষের সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই থাপ্পড় থেরাপি খুব জনপ্রিয়।

জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা শত শত বছর ধরে থাপ্পড় থেরাপি ব্যবহার করছেন। সৌন্দর্য বাড়াতে প্রতিদিন নিজেদের গালে ৫০টি চড় মারেন তারা। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই থেরাপি ত্বকের উন্নতি করে। এতে করে নারীরা নাকি আগের চেয়ে বেশি সুন্দরী হয়ে ওঠেন।

তবে থাপ্পড় থেরাপির অর্থ এই নয় যে কাউকে খুব জোরে চড় মারতে হবে। খুব আরামে এবং হালকা হাতে গালে চড় মারে। নারীরা তাদের নিজের হাতেই এই থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন।

পদ্ধতি অনুযায়ী, উভয় গালে তীক্ষ্ণভাবে নিজের হাত দিয়ে চাপ দিতে হবে। যদিও এই থেরাপি প্রাচীনকাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রচলিত, কিন্তু ধীরে ধীরে এই থেরাপি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ বিশ্বাস করে, এই থেরাপি হিসেবে গালে হালকা থাপ্পড় দেওয়া হলে মুখের প্রতিটি অংশে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। যা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। থাপ্পড়ের কারণে মুখে রক্ত সঞ্চালন সতেজভাবে হয়। এতে মুখ উজ্জ্বল হয়। জানলে অবাক হবেন, দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা প্রতিদিন এই থেরাপি ব্যবহার করেন।

কোরিয়ান নারীরা ছোট থেকেই এই থেরাপি ব্যবহার করা শুরু করেন। যে কারণে বড় হতে হতে তাদের ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল থাকে। নারী ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার পুরুষরাও এই থেরাপি ব্যবহার করেন। কোরিয়ার মানুষ বিশ্বাস করেন, এই থেরাপিটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে ত্বককে দীর্ঘ সময়ের জন্য তরুণ রাখা যায়। এ কারণে একে অ্যান্টি-এজিং থেরাপিও বলা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন