parbattanews

দর্শনার্থীদের মায়ায় মুখরিত পানছড়ির মায়াকানন

মায়াকানন পানছড়ি উপজেলার একটি বিনোদন কেন্দ্রের নাম। চেংগী নদীর কূল আর উপজেলা পরিষদ এলাকার মাঝামাঝিতেই এর অবস্থান। উপজেলা পরিষদ মাঠের পাশ দিয়েই যেতে হয় মায়াকাননে। বিকেলে মাঠে ফুটবলারদের ক্রীড়া কৌশল আর মাঠের পাশের দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ উপভোগ শেষেই দর্শনার্থীরা ছুটে যায় মায়াকাননে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ মায়াকাননকে সাজিয়ে তুলেছেন দারুণ সাজে। বিশেষ করে গাছের উপরে বানানো ছোট ছোট ঘরগুলোতে সন্ধ্যালগ্নে জ্বলে হারিকেনের আলো। নিভু নিভু আলো অনেক দুর থেকে দর্শনার্থীর দৃষ্টি কাড়ে। দর্শনার্থীর বসার আসনগুলোও সাজানো হয়েছে তুলির আঁচড়ে।

মায়াকাননের সামনেই শোভা পাচ্ছে অর্ধ শতাধিক সিঁড়ির একটি পুকুর ঘাট। সিঁড়িগুলোকে বাহারী আলপনায় সাজিয়েছে দক্ষ পটুয়ারা। পুকুরের বুক চিরে হাঁস চরে বেড়ানোর দৃশ্যটাও বেশ নজরকাড়া। এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনা। দোলনায় দোলার পাশাপাশি কেউবা গুন গুন করে গাইছে তাদের পছন্দের গান। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে চেংগী রিভার ভিউ ক্যাপে। সেখানে পাওয়া যায় নানান মজাদার খাবার। পাস্তা, নুডুলস, ফ্রেন্স ফ্রাই, ফুচকা, চটপটি, হট কফি, কোল্ড কফি, নানান ফলের জুস আর মাঝে মাঝে কলাপাতায় পরিবেশন করা হয় চেন্নাই বিরিয়ানি।

দুপুরে খাবারের সাথে থাকে চেংগী নদীর পাঁচ মিশালী মাছ, দেশী মোরগ, সবজি, ডাল, শাক সিদ্ধসহ নানান আইটেমের ভর্তা

অভিভাবকদের হাত ধরে ঘুরতে আসা শিশুদের দাবি, একটি ঝুলন্ত ব্রীজ আর রেলগাড়ী থাকলে বিনোদনের ষোল আনা পূর্ণ হতো।

জানা যায়, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেমের হাত ধরেই পানছড়ির মায়াবিনী ও মায়াকানন নামের দুটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠে। মায়াবিনী আর মায়াকাননের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগে প্রায়ই ছুটে আসছে দুর-দুরান্তের দর্শনার্থীরা।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Exit mobile version