parbattanews

দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ি রাসেলর অভিযোগ: আইসি’র অস্বীকার

রামগড় প্রতিনিধি:
দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রের আইসি(ক্যাম্প ইনচার্জ) এসআই মীর কাসেম আলীর হুমকিরমুখে দোকান বন্ধ করে ঘরবাড়ি ছেড়ে রামগড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুজপুরের ইসলামপুর বাজারের ব্যবসায়ী রাসেল মাহমুদ(৩০)। তিনি অভিযোগ করেন, কতিপয় লোকের মিথ্যা অভিযোগে প্ররোচিত হয়ে আইসি মীর কাশেম তদন্ত কেন্দ্রে ঢেকে নিয়ে তাঁকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলখাটানোর  ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১১টি খালি চেক ও একটি ননজুডিশিয়াল ষ্টাম্পে সাক্ষর নেয়।

তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে তদন্ত কেন্দ্রে আটকে রেখে এক আত্মীয়র মাধ্যমে শ্বশুর বাড়ি থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফেনী শাখায় তাঁর নিজ একাউন্টের  চেক বই এনে ১১টিতে জোরপূর্বক  সাক্ষর নেয়া হয়। চেক ও ষ্ট্যাম্প নেয়ার কথা কাউকে জানালে ভয়ানক পরিণতি হবে বলেও তদন্ত কেন্দ্রের আইসি তাঁকে হুমকী দেয়। এ ব্যাপাওে গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা হাকিমের আদালতে তিনি একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন বলে জানান। রামগড়ে পূর্বকোণ প্রতিনিধিকে রাসেল মাহমুদ আরও জানান, ফেনীর সোনাগাজির চর চান্দিনা গ্রামের নজরুল ইসলাম, আরাফাত ও টুটুল তাঁর কাছে দেড় লক্ষ টাকা পাবে মর্মে দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রে  অভিযোগ করলে আইসি মীর কাশেম এর কোন সাক্ষ্য প্রমান না নিয়েই গত ২০ মার্চ বিকালে  তাঁকে তদন্ত কেন্দ্রে ঢেকে এনে আটকিয়ে  চেক ও ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন। আদালতে অভিযোগ দেয়ায় আইসি মীর কাশেম আরও ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন। তিনি তাঁর বাড়িঘরে  গিয়ে নানা হুমকী ধামকি দিচ্ছেন। তাই তিনি ভয়ে  উসলামপুর বাজারের তাঁর দোকান বন্ধ করে  বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

এদিকে এ অভিযোগের ব্যাপারে গতকাল রবিবার মোবাইল ফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রের  আইসি মীর কাশেম আলী বলেন, রাসেল মাহমুদ সোনাগাজির  নজরুল ইসলামদের কাছ থেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে আড়াই লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু সে তাদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেনি, টাকাও ফেরৎ দেয়নি। এ অভিযোগেই উভয়পক্ষকে থানায় ঢেকে আনা হয়। তারা নিজেরা বসেই আপোস মীমাংসা করেছে। খালি চেকে ও ষ্ট্যাম্পে তিনি কোন সাক্ষর নেননি। কেউ নিয়েছে কি না তাও তিনি জানেন না বলে জানান। ব্যবসায়ী রাসেলকে হুমকী ধমকী দেয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেন।

Exit mobile version