দীঘিনালার পাবলাখালী গুচ্ছগ্রাম দুর্নীতি তদন্তে গঠিত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন

C-Pic2-300x194

নিজস্ব প্রতিনিধি, দীঘিনালা:

দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি ইউনিয়নের পাবলাখালী গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান মো. জামালের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৯ টন গম আত্মসাতের অভিযোগ করে কার্ডধারীরা। এরপর অভিযুক্ত মোঃ জামালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন চেয়ে  কার্ডধারীদের গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জমা পড়ে দীঘিনালা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে। এ বিষয়ে পার্বত্যনিউজে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয় এবং প্রশাসনের টনক নড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল জাহেদ পাভেল ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমটি গঠন করেন। গঠিত উক্ত কমিটি গতকাল ১৮ এপ্রিল ঘটনা তদন্তে কবাখালি ইউপি এলাকায় যান।

তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা পদ্ম রঞ্জন চাকমা। এই কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল জাহেদ পাভেলের নির্দেশে ঘটনা তদন্তে এলাকা পরিদর্শন করেন। অভিযোগকারীগণ ও অভিযুক্তসহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সঠিক ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং শ্রীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জমা দেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ও ৮ মার্চ গুচ্ছগ্রামের তিন মাসের চাল ও গম একসাথে দেয়ার নিয়ম থাকলেও কার্ডধারীদের মাঝে শুধু চাল বিতরন করা হয়েছে। বাকী তিন মাসের প্রাপ্য গম ৯ মার্চ দিবে বলে চাল দেয়ার সময় টিপসই নেয়া হয় কোন স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। স্বাক্ষর কেন নেয়া হয় নি এ ব্যাপারে কোন কার্ডধারী সঠিক জবাব দিতে পারেনি।  তবে এদের মধ্যে অনেকেই স্বাক্ষর জানেন। সকল কার্ডধারীদের একটাই অভিযোগ চাল পেয়েছি, কিন্তু গম পাই নাই।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, যিনি তদন্ত কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তদন্ত সঠিক হওয়ার নিশ্চিয়তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

২৫৮ নং কার্ডধারী মোঃ চান মিয়া ও ৩৪১ নং কার্ডধারী আম্বিয়া বেগম জানিয়েছেন, ১৯৮৮ সাল থেকে রেশন কার্ডেও চাল গম দেয়া হয় এই ধরনের জালিয়াতি আগে কখনও হয়নি। প্রজেক্ট চেয়ারম্যান মোঃ জামাল হোসেন চাল দেয়ার পর গম দিবে বলে ঘুরাচ্ছে কিন্তু এখনও কোন গম দেয় নাই। কার্ডধারীদের এখন একটাই প্রত্যশা, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে তিন মাসের প্রাপ্য গম যেন তারা অতিশীঘ্র ফিরে পায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন