parbattanews

দীঘিনালার প্রত্যন্ত গ্রামে পাহাড়িদের পানির কষ্ট লাঘব

দীঘিনালার পাহাড়ে আগে এক কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হতো। এখন চাপ্পাপাড়া গ্রামে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করায় দুর্ভোগ লাঘব হলো।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) বিকালে ডিপ টিউবওয়েল থেকে খাবার পানি নিতে এসে এসব কথা বলেন, চাপ্পাপাড়া মহিলা সমবায় সমিতির সভানেত্রী রিন বালা ত্রিপুরা।

এ সময় তিনি আরও জানান, গ্রামে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করার কারণে সময় এবং কষ্ট লাগব হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার দুর্গম চাপ্পাপাড়া গ্রাম। পুরো এগ্রামে কোন নিরাপদ পানির সংস্থান নেই। তাই কেহ এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূর থেকে টিউবওয়েলের পানি আনেন আবার কেহবা কূয়া বা ছড়ার পানি পান করে থাকেন।

সম্প্রতি দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম দুর্গম চাপ্পাপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করে অসহায় ৭টি পরিবাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করেন।

এ সময় এলাকাবাসী সুপেয় পানির কষ্টের কথা জানলে, চাপ্পাপাড়া গ্রামে একটি চাপকল এবং একটি ডিপ টিউবওয়েল প্রদান করবেন। ফেলে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের কষ্ট লাগব হয়েছে।

এ ব্যাপারে গ্রামবাসী বালেশ্বর ত্রিপুরা জানান, এখন জেনারেটরের বিদ্যুৎ দিয়েই ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি উঠবে। এখন আর দেড় কিলোমিটার দূর গিয়ে পানি আনতে হবে না। গ্রামে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন এবং বিদ্যুতের জন্য জেনারেটরে প্রদান করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানানো হয়।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, চাপ্পাপাড়া গ্রামটি খুবই দুর্গম এবং অনুন্নত। গ্রামের অতিদরিদ্র ৭টি পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করা হয়েছে।

তাছাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের সুপেয় পানির কষ্ট দূর করার জন্যে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে একটি চাপকল এবং পানির ট্যাংক সহ ১ টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়।

বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের প্রদত্ত ৩৬ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি উঠানোর জন্য একটি জেনারেটর প্রদান করা হয়।

তাছাড়া “চাপ্পাপাড়া মহিলা সমবায় সমিতি গঠন করে দেয়া হয়েছে। সমিতির মাধ্যমে চাদা উত্তোলন করে জেনারেটরের তেল ক্রয়সহ সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে।

Exit mobile version