parbattanews

দীঘিনালার রবিউল পরীক্ষা দিতে পারলো না

স্টাফ রিপোর্টার, পার্বত্যনিউজ :

একজন প্রধান শিক্ষকের কান্ডজ্ঞানহীনতা আর স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় অবশেষে পরীক্ষা দিতে পারলো দীঘিনালার রবিউল। সকল সহপাঠিরা পরীক্ষা দিলেও প্রধান শিক্ষকের চাহিদা মাফিক বাড়তি টাকা দিতে না পারায় রবিউলের শিক্ষা জীবন থমকে যেতে বসেছে। ছোট্ট রবিউলের জীবনে আশার কলি ফোটার আগেই ঝড়ে গেল। দীঘিনালার প্রশিক্ষনটিলা বর্ডার গার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র রবিউল এবছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১নং কবাখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে রবিউলকে পাওয়া যায়নি।

দীঘিনালার প্রশিক্ষনটিলা বর্ডার গার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন পরীক্ষার্থীও মধ্যে তিনজন পরীক্ষা দিলেও অনুপুস্থিত রয়েছে রবিউল নামে এক পরীক্ষার্থী এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্র সচিব ও ১নং কবাখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম বদিউজ্জামান। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফি ৬০ টাকা হলেও প্রশিক্ষনটিলা বর্ডার গার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতি পরীক্ষার্থী থেকে পরীক্ষার ফি বাবাদ ১০০, কেন্দ্র ফি বাবদ ১০০ এবং প্রবেশ পত্রের জন্য ১৫০ টাকা করে নিয়েছে বলে জানায় রবিউলের সহপাটি শিক্ষার্থী মো: ইয়াছিন আরাফাত ও আফসানা আক্তার।

রবিউলের মা তাছলিমা বেগম বলেন, দারিদ্ররতার কারণে তাদের পক্ষে হেড স্যারকে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি, তাই তার ছেলের পরীক্ষা দেওয়া হলোনা। অভিযুক্ত দীঘিনালার প্রশিক্ষনটিলা বর্ডার গার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বাড়তি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে কয়েকবার অফিসে যেতে হয়েছে, তাই খরচ বাবদ বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে রবিউলের ইচ্ছাকৃতভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছেনা বলে দাবী করেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল জাহিদ পাভেল জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন এবং ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে পরীক্ষার ফি বা প্রবেশপত্র গ্রহণের কিছু টাকা না দিতে পারায় রবিউল পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছের দীঘিনালার শিক্ষা সচেতন মানুষ।

Exit mobile version