দীঘিনালায় ইমরান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, জড়িত চার আসামি গ্রেফতার
দীঘিনালায় নিহত ইমরান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং আটক আসামীরা হলেন, উত্তর মিলনপুর গ্রামের মৃত কবির হোসেনের ছেলে শরীফুল ইসলাম শরীফ(২৪), জলিলের ছেলে আল আমিন (২৩), সোহরাব হোসেনের ছেলে মো. রমজান (২৯) এবং দীঘিনালা থানা বাজার এলাকার আনোয়ার হোসেন(৩৫)।
এঘটনায় নিহত ইমরানের মা রীনা আক্তার বাদী হয়ে গত শনিবার (২৩ মে)রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায় গত শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মিলনপুর গ্রামের অমল কান্তি চাকমার সেগুন বাগানে এক যুবকের লাশ পড়ে আছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, মামলার প্রধান আসামি মো. শরীফুল ইসলাম শরীফকে কবাখালী বাজার এলাকা থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি মো. আনোয়ার হোসেনকে দীঘিনালা থানা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আনোয়ার হোসেনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারসহ উত্তর মিলনপুর এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামি চট্টগ্রাম পালিয়ে যাওয়ার সময় মানিকছড়ি থেকে মো. রমজানকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে নিহতের মামা মো. লিটন ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য খুব দ্রুতই উদঘাটন করতে পেরেছি। এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৪জন কিলার অংশগ্রহণ করে।
আমরা আমাদের দক্ষ চৌকস দলের মাধ্যমে এক এক করে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করেছি। এদের মধ্যে মূল আসামি মো. রমজান (২৯) পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় মানিকছড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করি।
প্রাথমিক তদন্তে মাদক ব্যবসা কেন্দ্রিক বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।