parbattanews

দীঘিনালায় এলাকাবাসীর উদ্যোগ তৈরী হচ্ছে রাস্তা

Dighinala pic (2) 18-05-2016 copy

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালা উপজেলার পূর্ব হাচিনসনপুর গ্রামের হাচিনসনপুর-মুসমিল পাড়া রাস্তাটির একাংশ গত কয়েক বছরে কবাখালী নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। ফলে পাশ্ববর্তী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের দুটি বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে দূভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর্ভোগ লাঘবে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামবাসী।

গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার ২০ থেকে ৩০জন সেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য খুটি বসাচ্ছেন। আবার কয়েকজন একে অপরের সহযোগীতা করছেন। এর মধ্যে মো. বাবুল, মো. ওসমান আলী, মো. ইব্রাহিম কয়েকজন এগিয়ে এসে জানান, বেশ কয়েক বছর আগেও এ রাস্তা দিয়ে ছোট গাড়িসহ অটো রিক্সা চলাচল করতো। কিন্তু কয়েক বছরের নদী ভাঙ্গনে রাস্তার একাংশ পুরোই নদীর মধ্যে চলে গেছে। পরে ভাঙ্গা রাস্তায় বাশের সাকো তৈরী করে সাময়িক চলাচলের উপযোগী করা হলেও একপর্যায়ে সাকোটিও ভেঙ্গে নদীর গর্ভে চলে যায়। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার পর দুটি বিদ্যালয়ের কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এখানে প্রায় সময়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বই, খাতা নিয়ে নদীতে পড়ে গেছে বলে তারা জানান।

মো. বাবুল মিয়া আরো জানান, পুরো রাস্তাটি সংস্কার করতে আমাদের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এর মধ্যে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে এ টাকা সংগ্রহ করেছি। আর বাকিরা সেচ্ছাশ্রম দিয়ে সহযোগীতা করছেন।

স্থানীয় পূর্ব হাচিনসনপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যারা সেচ্ছাশ্রমে রাস্তা মেরামতের কাজ করছেন, তাদের সাথে কাজ করতে না পাড়ায়, খুটিসহ বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করার জন্য আমি নিজে চার হাজার টাকা দিয়েছি।

এ ব্যাপারে হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব প্রিয় বড়ুয়া জানান, এ রাস্তায় আমাদের বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী চলাচল করে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক দূর ঘুরে বিদ্যালয়ে আসতে হচ্ছে। রাস্তাটি সংস্কার করা হলে শিক্ষার্থীদের খুবই উপকারে আসবে।

এ ব্যাপারে ৩ নম্বর কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রাস্তাটি মেরামতের জন্য এলাকাবাসী সরকারি বরাদ্ধের অপেক্ষা না করে, সেচ্ছাশ্রমে উদ্যোগ নেয়ায় তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার স্থানটি আমি পরিদর্শন করেছি। তাদের সেচ্ছাশ্রম কাজের সাথে আমি একাত্বা প্রকাশ করছি। জাহাঙ্গীর হোসেন এই রাস্তা তৈরীতে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করবেন। আমি দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে রাস্তাটি স্থায়ী মেরামতের উদ্যোগ নিবেন বলে তিনি জানান।

Exit mobile version