parbattanews

দীঘিনালায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জ্ঞানরঞ্জনের পাশে দাড়ালেন পা হারানো দুই প্রতিবন্ধী

মুজিবুর রহমান ভুইয়া :

মাত্র বার বছর বয়সে এক রোগে দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কামাকুছড়া গ্রামের জ্ঞান রঞ্জন তালুকদার (৭৮)। তার স্ত্রী কল্পনা চাকমাও শারীরিক প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করেই কোন রকমে তাঁদের সংসার চলে। আর একমাত্র ছেলে বিধান তালুকদার দীঘিনালা ডিগ্রী কলেজে পড়াশুনা করে। অন্যের দান করা জমিতে ভাঙ্গা ঘরেই বসবাস তাদের।

একটু সাহায্যের জন্য বিত্তশালীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও কোন সাহায্য পাননি জ্ঞান রঞ্জন তালুকদার। আর তাই দীর্ঘদিনেও তৈরী করা হয়নি তাদের বসত ঘরটিও। বৃষ্টি এলেই বসে কাটাতে হতো এই কোণ থেকে ঐ কোণে। তাদের এ দূর্গতির কথা শনে অবশেষে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালেন পা হারানো দুই প্রতিবন্ধী। এদেও একজন দুই পা হারানো বিশ্বজিত গুপ্ত বিশু আর অন্যজন এক পা হারানো অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনন্দ মোহন চাকমা।

সম্প্রতি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জ্ঞান রঞ্জন তালুকদারকে ঘর নির্মাণের জন্য দুই বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহ নির্মাণের জন্য সহায়তা  দিলেন তারা। বিশ্বজিত গুপ্ত বিশু ও আনন্দ মোহন চাকমা বলেন, প্রতিবন্ধীদেরকে বরাবরই সমাজের বোঝা মনে করা হয়। এ দৃষ্টিভঙ্গি সমাজ থেকে দূর করতে হবে। সবার উচিত প্রতিবন্ধীদের পাশে এসে দাঁড়ানো। আমরা মনে করি প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। এটা সকলকে বুঝাতে চাই। আমি নিজেরা প্রতিবন্ধী তাই প্রতিবন্ধীদের দূ:খ-কষ্ট বুঝি। আমরা আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে জ্ঞান রঞ্জন তালুকদারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।

গৃহ নির্মাণের জন্য ঢেউটিন পেয়ে অভিব্যাক্তির কথা জানিয়ে জ্ঞান রঞ্জন চাকমা বলেন, এতোদিন বৃষ্টি হলে বসে বসে রাত কাটাতে হতো। এখন থেকে আর বসে বসে রাত কাটাতে হবে না। আমার পাশে এসে যে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়েছেন ভগবান তাঁদের মঙ্গল করবে।

Exit mobile version