parbattanews

দীঘিনালায় প্রাকৃতিক হিমাগারের উদ্বোধন

222

মো. আল আমিন, দীঘিনালা:

পাহাড়ে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্যের সংরক্ষণের লক্ষ্যে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে সর্বপ্রথম প্রাকৃতিক উপায়ে হিমাগার স্থাপন করল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আলো। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলার দীঘিনালা উপজেলার মিলনপুর এলাকাস্থ মাইনি রিসোর্টে এই হিমাগারের উদ্ভোধন করেন  খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম।

আলোর নিবার্হী পরিচালক অরুন কান্তি চাকমার সভাপতিত্ত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম। উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা পি.কে. এম. এনামুল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক, মুহাম্মদ আঃ মতিন, দীঘিনালা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা মোঃ রফিকুল ইসলাম খাঁন। দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকতা মোঃ সালা উদ্দিন আহাম্মদ,  খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি দিলীপ বড়–য়া। বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কর্মীবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোর কর্মসূচী সমন্বয়কারী সুইচিং মারমা।

জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম বলেন, প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে মানুষের কাছে  তত বেশী প্রগতি বয়ে আনছে । এব্যাপারে আমাদের আরো বেশী সচেতন হতে হবে। এটি খাগড়াছড়ির জন্য নব দ্বার উন্মোচিত হবে। হিমাগার স্থাপন করার জন্য তিনি আলোকে ধন্যবাদ জানান । তিনি উল্লেখ করেন তামাক চাষের ক্ষেত্রে কৃষক যে লাভ পায় তার তিন গুন লাভ করা যায় আখ চাষ করে। তামাক চাষের মাধ্যমে যে ভাবে জমি ক্ষতি করা হচ্ছে তাতে আগামীতে ঐ জমিগুলো উর্বরতা হারিয়ে ফসল চাষ করার অনুপোযগী হয়ে দাঁড়াবে।

দীঘিনালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, তামাক চাষের পরিবর্তে ইক্ষু চাষ করলে কৃষকরা অধিক মুনাফা পাবে। এতে করে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পার্বত্যাঞ্চলের জলবায়ূ ও মাটি ইক্ষু চাষের উপযোগী। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইক্ষু সমতলের ইক্ষুর চেয়ে রসালো ও মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই প্রগতিকর তামাক চাষ বন্ধ করে ইক্ষুু চাষের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোর নিবার্হী পরিচালক অরুন কান্তি চাকমা বলেন, ২০১১ সালের মে মাস থেকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এই এলাকায় “ইন্টিগ্রেটেড সাসটেইনেবল হিল ফার্মিং” প্রকল্পটির কাজ আরু হয়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন গত অর্থ বছরের কিছু বর্ধিত বাজেট অনুমোদন করে  আলো সংস্থার মাধ্যমে এই এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে প্রাকৃতিক হিমাগারটি নির্মাণ করেছে। ৪০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ হিমাগারটিতে প্রাথমিকভাবে আলু সংরক্ষণ করা হচ্ছে। হিমাগারটিতে সারা বছর ব্যাপি আলু সংরক্ষণ করা যাবে বলে তিনি জানান। তিনি আর বলেন আমাদের এই হিমাগারে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য সাক সব্জি রাখার ব্যাবস্থা করা হবে ইতি মধ্যই।

Exit mobile version