parbattanews

দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত 

দীঘিনালা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উপজেলার বাবুছড়া, দীঘিনালা, বোয়ালখালি এবং কবাখালী ইউনিয়নে বন্যার পানি নেমে গেলেও মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ি, বড় মেরুং, ছোট মেরুং ও হাজাছড়া এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে পানি বন্দি রয়েছে অর্ধসহস্রাধিক পরিবার।

গত শনিবার দুপুরে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ি, বড় মেরুং, ছোট মেরুং ও হাজাছড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব গ্রামের বাড়িঘর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত আছে। অনেকেই  হাসমুরগী, গবাদিপশু নিয়ে পাশ্ব আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

অন্যদিকে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে কবাখালী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার ১নং কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে্ আশ্রয় নিয়েছে। অপরদিকে মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ি, বড় মেরুং, ছোট মেরুং ও হাজাছড়া এলাকার ১ শত ২৬ পরিবার ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে দশ কেজি চাল, ডাল এবং তেল বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে গত চারদিন যাবৎ দীঘিনালা- লংগদু সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দীঘিনালা শান্তি পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, মেরুং ইউনিয়নের দুটি ব্রীজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে দীঘিনালা লংগদু সড়কে গত চারদিন যাবৎ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রহমান কবির রতন জানান, বন্যার পানি অপরিবর্তিত থাকায় মেরুং ইউনিয়নে ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১শত ২৬ পরিবার এখনো নিজ নিজ বাড়িতে উঠতে পারেনি। তাই তারা এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

Exit mobile version