parbattanews

দীঘিনালায় বাবা-কন্যার সংবাদ সম্মেলনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দীঘিনালায় চার কন্যার সংবাদ সম্মেলনের একদিন পর আবার তাদের পিতা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২মে) দুপুরে উপজেলার হোটেল ইউনিটির কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চার কন্যার পিতা মো. সোহরাব হোসেন। এর আগে একই স্থানে পিতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে তার চার কন্যা।

চার কন্যার অভিযোগ সৎ মায়ের কুপরামর্শে পিতা কর্তৃক চার কন্যাকে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা ও ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়। অন্যদিকে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে সেইসব অভিযোগ অস্বীকার করে পিতা সোহরাব হোসেন।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসেন বলেন, আমার প্রথম সংসারের ছোট তিন মেয়ে রয়েছে। তারা বড় মেয়ে ও জামাতার কুপরামর্শে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে৷ আমি তাদের সন্তান হিসেবে স্বীকার করলেও আমার জীবদ্দশায় আমার সহায়-সম্পত্তির ভাগ কোন সন্তানকেই দিবোনা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় মেয়ে মারুফা আক্তার ও তার স্বামী ফজলুল করিম আমার ছোট তিন মেয়েকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি গতকাল অনুষ্ঠিত মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিতা সোহরাব হোসেন কর্তৃক চার মেয়ে ও বড় মেয়ের জামাতার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলার সাক্ষী মো. জয়নাল আবেদীন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জয়নাল আবেদীন বলেন, ডাকাতির বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ঘটনার বিবরণ সোহরাব হোসেন ঘটনার পরে আমাকে জানিয়েছেন। আমি ঘটনার সাক্ষী হলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না।

সন্তানদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা কেনো থানায় করেননি? এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাব হোসেন বলেন, আমি থানায় গিয়েছি। পুলিশ মামলা নেননি। পরে আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের করেছি৷

সোহরাব হোসেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতিমা আক্তার ও পুত্র ইস্তিয়াজ হাসানের উপস্থিতিতে চার মেয়ে ও বড় জামাতার বিরুদ্ধে একতরফা বক্তব্য উপস্থাপন করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের তেমন কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

Exit mobile version