parbattanews

দীঘিনালায় বিজিবি’র ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন না করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি

Memo-1

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

দীঘিনালায় দরিদ্র পাহাড়িদের উচ্ছেদ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন না করার আবেদন জানিয়ে রবিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে দীঘিনালার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারী  ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান নবকমল চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান সুসময় চাকমা ও গোপাদেবী চাকমা, বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুগত প্রিয় চাকমা, দীঘিনালা ইউপি চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্ব কল্যাণ চাকমা, বোয়ালখালী ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা, ৫১ নং দীঘিনালা মৌজার হেডম্যান প্রান্তর চাকমা, ৫০ নং বাঘাইছড়ি মৌজার হেডম্যান সত্যেন্দ্রীয় চাকমা, দীঘিনালা কার্বারী এসোসিয়েশনের সভাপতি যতীন বিকাশ কার্বারী, সাধারণ সম্পাদক নরেন্দু কাবারী, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থ কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি প্রফুল্ল কুমার চাকমা, দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক পরিতোষ চাকমা সহ ২০জন হেডম্যান, ৪৯ জন জনপ্রতিনিধ ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী নেতৃবৃন্দ মিলে মোট ৮০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপিতে ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো: ক. আদালত অবমাননা করে দীঘিনালা বিজিবি’র ব্যাটলিয়ন সদর দপ্তরের জন্য জমি অধিগ্রহণ বাতিল এবং যত্ন মোহান কার্বারী পাড়া থেকে বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার কর হোক; খ. দীঘিনালায় বিজিবি’র যে কোন ক্যাম্প ও সদর দপ্তর স্থাপনের পূর্বে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও হেডম্যানসহ এলাকার জনগণের মতামত নেয়া হোক; গ. ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তি মোতাবেক ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থীদের ফেরত প্রদান সহ যথাযথ পুনর্বাসন করা হোক এবং ঘ. ১৯৮৫ সালে বাবুছড়া আর্মি ক্যাম্প স্থাপনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জমির যথাযথ বর্গা প্রদানপূর্বক তাদের স্ব স্ব জমি ফেরত দেয়া হোক।

Exit mobile version