parbattanews

দীঘিনালায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের ক্ষোভ প্রকাশ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাবুছড়া এলাকা গভীর রাতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে আব্দুল মালেকের স্ত্রী নিহত ও ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে -পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

শনিবার (১৫আগস্ট) রাত সাড়ে ১টায় দীঘিনালা বাবুছড়া সোনা মিয়া টিলার ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. আবদুল মালেকের বাড়ীতে ঘুমন্ত পরিবারের উপর এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়।

এই সময় উপজাতি সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি ২০/২৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়, গুলি থেকে আ. মালেক প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী মোরশেদা বেগম (৪০) নিহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় ছেলে মো. আহাদ(১১)।

আব্দুল মালেক ছিলেন সোনা মিয়া টিলার (৮১২ পরিবারের) ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি।

উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া ও মহাসচিব মো. আলমগীর কবির।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসাইনেরর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন ৮১২ পরিবারের জন্য সরকারের দেওয়া ৫ একর সম্পত্তি উপজাতিরা দখল করে আছে দীর্ঘ ৩ যুগ থেকে এবং তাদেরকে সাহস দিচ্ছে উপজাতি ইউপিডিএফ ও জেএসএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।

আব্দুল মালেক ছিল এই ভুমিহারা পরিবারের নেতা। সন্ত্রাসীরা মনে করেছে মো. আবদুল মালেককে হত্যা করতে পারলে বাঙ্গালীদের জমি দখল করে রাখতে আর কোন বাধা থাকবেনা এবং ৮১২ পরিবারের পক্ষে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে।

আরো দাবী করেন সোনা মিয়া টিলার বাঙ্গালীদের জায়গা দ্রুত বাঙ্গালীদের নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে। চিরুনী অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে আগামীকাল ১৬ আগস্ট বেলা ১১ টায় ৩ পার্বত্য জেলায় একসাথে মানববন্ধন করা হবে।

মানবন্ধনে পরবর্তী কর্মসূচী এবং এ বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানানো হবে। যথাসময় অপরাধীকে গ্রেপ্তারে অক্ষম হলে শান্তিপ্রিয় পার্বত্যবাসীকে সাথে নিয়ে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকা অচল করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্ছারণ করেন।

Exit mobile version