দীঘিনালা প্রতিনিধি:
দীঘিনালা উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সোবহানপুর এলাকার ১নং কলোনীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত মো. রফিকুল ইসলামকে (২৮) আটক করেছে, দীঘিনালা থানার পুলিশ। রফিকুল সোবহানপুর গ্রামের মো. আজিজ মিয়া ছেলে।
দীঘিনালা থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোবহানপুর এলাকার ১নং কলোনীর বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্ষিতাকে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি একদিন পর ধর্ষিতা তার মা’কে জানালে, তার মা পরে ঘটনাটি স্থানীয় মুরুব্বীদের জানান। স্থানীয় মুরুব্বীরা বিচার শালিসের মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করেন। সমঝোতার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে ঘটনায় জড়িত মো. রফিকুল ইসলামকে আসামী করে দীঘিনালা থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার বাড়িতে একা পেয়ে রফিকুল ইসলাম আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার একদিন পর আমাকে জানালে, আমি ঘটনাটি স্থানীয় মুরুব্বীদের জানাই। তারা বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটলেও প্রথমে তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করে। গত সোমবার ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ধর্ষক মো. রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
