parbattanews

দীঘিনালায় সাড়ে এগার লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দু’জন আটক

আটক

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালায় ব্যবাসায়ীর সাড়ে এগার লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বোয়ালখালী বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, বোয়ালখালী পুরাতন বাজার এলাকার আবদুল লতিফের ছেলে মো. সেলিম ওরফে মুরগি সেলিম এবং বোয়ালখালী পশ্চিম কাঠালতলী গ্রামের বিজয় সিন্ধু চাকমার ছেলে রুনেল চাকমা চিকন্যা(৩৫)।

এঘটনায় ব্যবাসায়ী সেলিম রবিবার দীঘিনালা থানায় বাদী হয়ে পশ্চিম কাঠালতলী গ্রামের গুলাচোখা চাকমার ছেলে বাবুধন চাকমাকে প্রধান আসামী করে তিনজানের নামে মামলা করে।

এব্যাপারে দীঘিনালা থানায় আটক রুনেল চাকমা চিকন্যা(৩৫) জানান, ঘটনার তিনদিন আগে মুরগি সেলিম ব্যবাসায়ী সেলিমের টাকা ছিনতাইয়ের কথা বলে। এসময় আমি অপারগতা প্রকাশ করে, তাকে বাবুধন চাকমার কথা জানাই। পরে মুরগি সেলিম বাবুধন চাকমার সাথে পরামর্শ করে। ঘটনার দিন রবিবার মুরগি সেলিম বাবুধন চাকমাকে নিয়ে ব্যবাসায়ী সেলিম ও তার  ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে দেয়।

এব্যাপারে মুরগি সলিম জানায়, ব্যবসায়ী সেলিমের সাথে আমার আগেই চাউলের ব্যবাসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।

ব্যবসায়ী  সেলিম জানান, আমার কারও সাথে দ্বন্দ্ব নেই। টাকা ছিনতাই করার সময় আমি তিন জনের মধ্যে শুধুমাত্র বাবুধন চাকমাকে চিনতে পারি।

এব্যাপারে দীঘিনালা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ব্যবসায়ী সেলিম ও মুরগি সেলিম তারা দুজন সর্ম্পকে মামা-ভাগ্নে। ঘটনার দিন মুরগি সেলিম বাবুধন চাকমাকে বোয়ালখালী বাজারে নিয়ে ব্যবাসায়ী সেলিমকে দূর থেকে পরিচয় করে দেয়। এর পরে ঘটনার আগে সকাল ১০.৫৫ মিনিটে মুরগি সেলিমের সাথে মোবাইল ফোনে বাবুধন চাকমার কথা হয়। এর পরে আবার ১১.১৩ মিনিটে এবং  ১১.৩৩ মিনিটে কথা হয়।

তিনি আরও জানান, ছিনতাই হওয়া সাড়ে এগার লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ বাবুধন চাকমাকে আটকের জন্য অভিযান অব্যহত আছে।

উল্লেখ্যঃ রবিবার সকাল সাড়ে এগারটায় ব্যাবসায়ী মো. সেলিম চালানের টাকা এবং অন্যন্য ব্যবসায়ীর টাকা টিটি করার জন্যে দীঘিনালা থেকে জেলা সদরের পূবালী ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার পথে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের অটল টিলা এলাকা বাবুধন চাকমাসহ তিনজন মোটরসাইকেল থামিয়ে সঙ্গে থাকা সাড়ে এগার লক্ষ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।

Exit mobile version