দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের থানায় নিয়ে জোরপূর্বক মুচলেকা নেয়ার অভিযোগ
দীঘিনালা প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিএনপি সমর্থিত ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৪ ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দীঘিনালা থানা পুলিশ থানায় নিয়ে মুচলেকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দীঘিনালা থানার সামনে থেকে বিএনপি প্রার্থীদের জোরপূর্বক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবু তালেব মেম্বার, মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন, খনি রঞ্জন ত্রিপুরা ও শান্তি প্রিয় চাকমা। ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, মেরুং ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, কবাখালি ইউপি মেম্বার নুরুল আফসার মুনাফ ও আঃ সালাম।
উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র এক নেতা বলেন, সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর দীঘিনালা থানার সামনে এক চায়ের দোকানে বসে আমাদের প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা চা খাচ্ছিলো। এসময় দীঘিনালা থানার ওসির নেতৃত্বে কিছু পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়। থানার ভিতর নিয়ে তাদের কাছথেকে জোরপূর্বক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। নির্বাচনের আচরন বিধি লংঘন করবোনা এবং করলে আইনের বিধি অনুযায়ী শাস্তি হবে এই মর্মে মুচলেকা নেয়া হয় বলেও জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে দীঘিনালা থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেন টিটো জানিয়েছেন, জোরপূর্বক থানায় নিয়ে এসে বিএনপি প্রার্থীদের থেকে মুচলেকা নেয়া হয়নি। মূলত তারা থানার সামনে বসে ছিলো এবং তাদের থানায় ডেকে এনে চা খাওয়ানো হয়েছে। এবং প্রার্থীরা থানার সামনে বসে বৈঠক করছিলো তাই তাদের থানায় বুঝানো হয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর আগেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের প্রশাসনিকভাবে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছিলো। এটি তার একটি বহিঃপ্রকাশ। মূলত শুরু থেকেই প্রশাসন বিএনপি সমর্থিত কোনো বাঙালী প্রার্থি যেন নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে চলেছে। খাগড়াছড়িতে উপজেলা নির্বাচনে সরকারী দলের ভরাডুবির পর সর্বশেষ দিঘীনালা উপজেলার আসনটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকারী দল। তারই অংশ হিসাবে দিঘীনালাতে সরকারী দলের প্রার্থিকে একক বাঙালী প্রার্থি হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেয়া নিশ্চিত করতে বিএনপি যেন কোনো বাঙালী প্রার্থি দিতে না পারে তার জন্য প্রশাসনকে নানাভাবে ব্যবহার করছে।