দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ভোটযুদ্ধ

দীঘিনালা উপজেলা

উপজেলা প্রতিনিধি, দীঘিনালা:
আসন্ন চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের পঞ্চম দফায় খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মার্চ। আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের ভোট যুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ নেমেছে প্রচার প্রচারনায়। একদিকে বিএনপি তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন, অপরদিকে সরকারী দল আওয়ামীলীগ তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন (ঘোড়া প্রতীক) নির্বাচন করছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যেই উপজেলার প্রায় প্রত্যেক এলাকায় গনসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। আজ (শুক্রবার) বোয়ালখালী বাজারে বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারনা করবেন বলে জানা গেছে দলীয় সূত্রে। এদিকে থেমে নেই আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর প্রচারনা। আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. কাশেম (চিংড়ি) নির্বাচন করছেন। প্রচার প্রচারনা আর কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে গনসংযোগে তিনিও ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা সদর সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে প্রচারণা শেষ করেছেন তিনি।

গতবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে (আনারস প্রতীকে) অংশগ্রহণ করা এই প্রার্থী অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যায়। এবার তিনি এবং তার দল আশাবাদী উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হবেন তিনি।

অপরদিকে ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী নব কমল চাকমা (হেলিকপ্টার), জেএসএস (সংস্কার) সমর্থিত প্রার্থী ও বোয়ালখালী ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা (আনারস), বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ধর্মবীর চাকমা (কাপ পিরিচ) প্রতিকসহ চেয়ারম্যান পদে মোট ৯প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থী তাদের স্ব স্ব কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারনা করছেন। আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে চেক পোষ্ট বসিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় আসন্ন এই নির্বাচনে কোন পেশি শক্তির প্রশ্রয় দেয়া হবে না। নির্বাচনকে ঘিরে কেউ পেশি শক্তির চেষ্টা করলে তা কঠোর ভাবে দমন করা হবে। এদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থির থেকে বরাবরই প্রশাসনের তরফ থেকে হুমকি ধামকির অভিযোগ আনা হচ্ছে।

এ ব্যপারে প্রশাসন বলছে, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ করলে প্রশাসন তার ব্যবস্থা নিবে। অভিযোগ রয়েছে অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ থেকেও। সব মিলিয়ে আশা করা যাচ্ছে নির্বাচন হবে হাড্ডাহাড্ডি। সাধারণ ভোটারদের দাবী তারা তাদের ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিবেন। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫, ৮৭৩ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ২৫ টি। যারমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে ১২ টি, হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে ১টিতে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন