parbattanews

দীঘিনালা শুকনাছড়া গ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ

17352621_1240220199418508_402045277_n copy

দীঘিনালা প্রতিনিধি:

দীঘিনালা উপজেলার ৩নম্বর কবাখালী ইউনিয়নের শুকনাছড়ি গ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেকে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হলেও নতুন করে আবারও আক্রান্ত হচ্ছেন।

সরেজমিনে রবিবার দীঘিনালা উপজেলার শুকনাছড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শান্তিলতা চাকমা (৫৫) নামে একজনকে ডায়রিয়া রোগের স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।

এব্যাপারে গ্রামের কার্বারী(গ্রাম প্রধান) সুরেশ বিহারী কার্বারী জানান, যিনি স্যালাইন নিচ্ছেন, তিনি আমার শাশুড়ী। আমার স্ত্রী জয়শ্রী চাকমা(৪২) এবং মেয়ে ইয়ানা চাকমা (৭) তারা দুজনে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে আমি নিজেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছি।

গ্রামের বাসিন্দা সিন্ধুদেবী চাকমা (৫৭) জানান, ছড়ার পানি পান করে আমি নিজে এবং আমার নাতনী ইতি চাকমা (০৫) আক্রান্ত হয়েছি। বর্তমানে দুজনেই চিকিৎসা নিচ্ছি।

গ্রামের অন্য আরেক জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়া চিজিবি চাকমা (২৬) জানান, বুধবার বৃষ্টির পর থেকে আমাদের গ্রামে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া বেড়ে গেছে। এতে আমার মেয়েও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়।

গ্রামের রনিল বিকাশ চাকমা জানান, এ গ্রামে মোট ৭৫ পরিবারের বসবাস। সবাই ছড়া, কুয়া এবং রিং টিউবওয়েলে পরিষ্কার পানি পান করে। বুধবার বৃষ্টি হওয়ার পর ছড়া, কুয়া এবং রিং টিউবওয়েলের পানি পান করার পর গ্রামের অধিকাংশ লোকজনই ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিছু চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন এবং এখনো নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে।

দীঘিণালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডা. দীপঙ্কর ধর জানান,  গত ১১মার্চ থেকে-১৯ মার্চ পর্যন্ত বহিঃ বিভাগে শতাধিক ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া যারা মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত তাদের বিশেষ করে শিশুদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

দীঘিণালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আনোয়ার ডায়েরিয়া  সম্পর্কে জানান, ডায়েরিয়া থেকে রক্ষা পেতে নলকুপের পানি পান করতে হবে। এছাড়া ছড়া, কুয়ার পানি অবশ্যই ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করতে হবে। এছাড় ছড়া ও কুয়ার পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিয়েও পানি বিশুদ্ধ করে পান করা যায়। এব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলতে হবে।

এব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শুকনা ছড়া এলাকায় ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা এবং এলাকাবাসীদের নিরাপদ পানি পান করা সর্ম্পকে সচেতন করতে খুব শীঘ্রই একটি মেডিকেল টিম পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হবে।

Exit mobile version