দীঘিনালা সেনা-জোনের উদ্যোগে মাইনী নদীর বাঁশ পরিবহনের ছাড়পত্র পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা
দীঘিনালা সেনা-জোনের উদ্যোগের ফলে বন্ধ থাকা মাইনী নদীর বাঁশ পরিবহনের ছাড়পত্র (টিপি) পাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। বাঁশ পরিবহনের ফলে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া এবং রোদে পুড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার বড় ধরনের আশঙ্কা থেকে রক্ষা পেলেন বাবুছড়ার বাঁশ ব্যবসায়ী। এ উদ্যোগের ফলে খুশি বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ীরা ও বাঁশ কাটা স্থানীয় লোকজন।
জানাযায়, রাঙামাটি উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন নাড়াইছড়ি রেঞ্জ দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ বাঁশ কুপ। বাঁশ কুপ থেকে স্থানীয় বাঁশ কাটাররা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন বাজারে। এই বাজার সংলগ্ন ৪টি ঘাট থেকে প্রতিদিন অন্তত ২৪টি বাঁশ বোঝায় ট্রাক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে।
বাবুছড়া বাঁশ কল্যাণ সমিতি সূত্র জানায়, ‘গত অর্থ বছরের ৯ মাসে অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১ মে পর্যন্ত পরিবহন করা হয়েছে ২৮ লাখ ৪৪ হাজার বাঁশ।
চলতি বছরের তিন মাস বাঁশ কাটা বন্ধ ছিল। এই বাঁশ কর্তন, পরিবহন ও লোডিংয়ের সাথে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। কিন্তু করোনায় বাঁশ পরিবহন বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। লোকসানে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে বাবুছড়া সংলগ্ন মাইনি নদীতে পড়ে আছে অন্তত ৫ লক্ষ বাঁশ। বর্তমানে একদিকে রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাঁশ ব্যবসায়ীরা!
এসব বাঁশের রাজস্ব পরিশোধ করা হলেও সেগুলো পরিবহন করতে না পাড়ায়, ২ কোটি টাকা লোকসানে পড়ার আশঙ্কায় করছেন!
বাবুছড়া বাঁশ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অরুন বিকাশ চাকমা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে বাঁশ পরিবহন বন্ধ থাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়ে, ঠিক সে মুহুর্তে দীঘিনালা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আদনান কবির স্যারের উদ্যোগ খুব প্রশংসনীয়। স্যারের উদ্যোগে ফলে আমরা একদিকে বাঁশ পরিবহনের ছাড়পত্র ( টিপি) পাচ্ছি অন্যদিকে বড় ধরনের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমরা বাঁশ কাটা শ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের নিকট কৃতজ্ঞ।
এব্যাপারে দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আদনান কবির, পিপিএম (বার), পিএসসি জানান, এব্যাপারে রাঙ্গামাটি বন বিভাগের প্রধান কার্যালয় এবং জামতলী রেঞ্জের একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে মাইনি নদীতে অপেক্ষমান বাঁশ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ছাড়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই এসব বাঁশ সমতলে পরিবহনের ছাড়পত্র (টিপি) পেয়ে যাবে।