parbattanews

দুই পাহাড়ি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলের দপ্তরি অংথুই প্রু মারমা গ্রেফতার

bandarban-pic-26-9

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবান শহরের সরকারী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই পাহাড়ি শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে বিদ্যালয়টির দপ্তরি অংথুই প্রু মারমা (৩০) কে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, সরকারী পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর (বয়স ৮) ও ৪র্থ শ্রেনীর (বয়স ১০) ছাত্রী দুই শিশুর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে দপ্তরি অংথুই প্রু মারমাকে (৩০)  আটক করা হয়। সে শহরের মধ্যম পাড়ার মৃত চিংশৈউ মারমা এর ছেলে। শিশু দুটির বাড়ী সদর উপজেলার জামছড়ি এলাকায়।

স্কুল সূত্রে জানাযায়, স্কুল দপ্তরি অংথুই প্রু মারমা বিভিন্ন কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক শিক্ষার প্রশিক্ষন দিত। সে সুযোগে ছাত্রীদের ভয় দেখিয়ে তার রুমে নিয়ে ধর্ষন করেছে। তবে এ বিষয়ে কোন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেনি বলে প্রধান শিক্ষক জানান।

এ ব্যাপারে ২য় শ্রেনীর ছাত্রীর মা পাইসাউ মার্মানী জানান, আমাদের বাড়ী শহর থেকে দূরে জামছড়ি এলাকায়। আমার মেয়ে স্কুলের পাশে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে লেখা পড়া করে। স্কুলের দপ্তরি অংথুই প্রু মারমা ভয় দেখিয়ে ঈদুল আযহার আগে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমরা জানতাম না। ভয়ে কাউকে বলেনি আমার মেয়ে। রোববার স্কুলে যাবার পর আবারো রুমে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হলে অসহ্য হয়ে মুখ খুলছে শিশুটি।

অপরদিকে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীর মা শৈম্রাচিং বলেন, আমার মেয়েকে কোরবানি ঈদের আগে একবার ধর্ষণ করেছে ওই স্কুলের দপ্তরি। ভয়ে সে মুখ খুলতে চায়নি। আবার ধর্ষনের চেষ্টা করলে অসহ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

এদিকে আটক দপ্তরি অংথুই প্রু মারমা জানায়, ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

বান্দরবান পাড়া সরকারি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক উসংনু মারমা জানান, দপ্তরি অংথুই প্রু’র  বিরুদ্ধে কোন শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কোন সময় অভিযোগ আসেনি।

বান্দরবান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ বলেন, গ্রেফতারকৃত অংথুই প্রু’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য দিয়েছে। স্কুলে দু’শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তার বিরুদ্ধে  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা রুজু করা হবে।

এদিকে স্থানীয় বাঙ্গালীদের অভিযোগ, পাহাড়ী যুবক হয়ে আজ দুই পাহাড়ী শিশুকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। তাই এনিয়ে কোন পাহাড়ী সংগঠন শিশু-ধর্ষকের বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামেনি। কিন্তু যদি কোন বাঙ্গালী কোন পাহাড়ী মেয়ের সাথে এমন করতো এতক্ষনে আন্দোলন সংগ্রাম, মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আইনশৃঙ্খলার অবিনতি ঘটাত। তাই জাতিগত চিন্তা ভুলে গিয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক একজন ধর্ষকের কঠোর বিচারের দাবি জানান তারা।

Exit mobile version