parbattanews

দুই হাজার শরণার্থী ফেরত পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড

মিয়ানমারের দক্ষিণ পূর্ব সীমান্ত এলাকায় জান্তা সরকার বিমান হামলা চালানোর পর বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। গত রবিবারের ওই হামলার পর মিয়ানমারের বহু নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে ঢুকে পড়লেও তাদের অনেককেই আবারও ফেরত পাঠানো হয়েছে। অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কারেন ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, বর্তমানে ২ হাজার নয় জন মানুষ জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। তবে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে থাই কর্তৃপক্ষ। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

মিয়ানমারের থাই সীমান্তবর্তী বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির নৃতাত্ত্বিক সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। ওই এলাকায় এক সেনা চৌকিতে হামলার পর দশ জন নিহতের পর গোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রিত গ্রামে বিমান হামলা চালায় ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ওই হামলার পর বহু মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করে।

সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত মানুষদের ওপর ক্রমাগতভাবে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ করে যাওয়ার মধ্যেই সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। গত শনিবার এক দিনেই ১১৪ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবারও নারী ও শিশুসহ ১৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানিয়েছে, বিমান হামলার পর সালউইন নদী পেরিয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে ঢুকে পড়ে। তবে দুই হাজার জনকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কারেন উইমেন অর্গানাইজেশন (কেডব্লিউও) জানিয়েছে, বিমান হামলার পর কারেন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে প্রায় দশ হাজার মানুষ। এর মধ্যে তিন হাজারই সীমান্ত অতিক্রম করে থাইল্যান্ডে ঢুকে পড়ে।

তবে থাইল্যান্ডের মায়ে হোন সোন প্রদেশের গভর্নর শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংরাট দাবি করেন কেবল অনানুষ্ঠানিক সূত্রের ওপর ভিত্তি করে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে সরকারি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে কোনও শরণার্থীকেই ফেরত পাঠানো হয়নি।

সূত্র: Bangla Tribune

Exit mobile version