parbattanews

দুর্নীতির অভিযোগে হোমিওপ্যাথি কলেজ ছাড়তে হচ্ছে তোফায়েলকে, দায়িত্বে এডিসি

শেষ রক্ষা হলোনা খাগড়াছড়ির এইচএম পার্বত্য হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. একে এম তোফায়েল আহম্মদ’র। অবশেষে দীর্ঘ এক দশক পর দুর্নীতির অভিযোগে কলেজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার(১১ ফেফ্রুয়ারি) এই সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে জেলা প্রশাসক ও খাগড়াছড়ি এইচএম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক কলেজের ম্যানেজিং(এডহক কমিটির) সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

তার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা ও অশোভন আচরণের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করা হয়। এই সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করে জেলা প্রশাসক ও খাগড়াছড়ি এইচএম পার্বত্য হোমিওপ্যাথিক কলেজের ম্যানেজিং(এডহক কমিটির) সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডা. মো. কাজী তোফায়েল আহম্মেদ’র বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে অর্থ আত্মসাতসহ আনীত অধিকাংশ অভিযোগ প্রমানিত। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর অধীনে অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযােগে বিভাগীয় মামলা রুজুকরণের এবং সাময়িক বরখাস্ত করণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আদেশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড রেগুলেশন ১৯৮৫ এর রেগুলেশন ১০ অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি (এডহক কমিটি) কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুমোদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যানের এর কাছে পাঠানো হয়েছিল।

এ প্রেক্ষিতে কাজী তোফায়েল আহাম্মদকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২ অনুযায়ী ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে চাকুরী হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এসময় সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বিধি অনুযায়ী তিনি খরপোষভাতা প্রাপ্য হবেন বলে উল্লেখ করা হয়। অফিস আদেশে কলেজের দায়িত্বভার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( শিক্ষা ও আইসিটি)কে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

Exit mobile version