parbattanews

দুর্ভোগ লাঘবে চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী, খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট

খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত গ্রামে চলছে সুপেয় পানির সংকট। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ঝিরি, ছড়া সহ প্রাকৃতিক পানির উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় এ সংকট তীব্র আকার করেছে। দুর্ভোগ লাগবে স্থানীয় সেনাবাহিনী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত: গাছপালা ও পাড়া বন সংরক্ষণে এখনই উদ্যোগ না নেওয়া এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি। ভবিষ্যতে এ সংকট আরও জটিল হতে পারে বলে মত নাগরিক সমাজের। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কেউ।

কলস, হাড়ি, বালতি নিয়ে ছোটাছুটির এ দৃশ্য খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সীমানা পাড়াসহ প্রত্যন্ত পাহাড়ি জনপদে। এক ফোটা পানি সংগ্রহের জন্য গ্রামবাসীর এ কর্মব্যস্ততা। স্থানীয় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রামে সুপেয় পানি সরবরাহের চেষ্টা করছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রাকৃতিক উৎস শুকিয়ে এ সংকট।

 

মেরং ইউপি সদস্য গনেস ত্রিপুরা বলেন, শুধু সীমানাপাড়া নয়, দীঘিনালার নয়মাইল, চন্দ্রকিরণ পাড়া, আট মাইল এলাকাসহ অন্যান্য উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র একই। এসব গ্রামের মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা পায়ে হেঁটে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

জাবারাং নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, ফাল্গুন থেকে জ্যৈষ্ঠ এ চার মাস তীব্র পানির সংকট থাকে পাহাড়ের গ্রামগুলোতে। পানির অভাবের পাশাপাশি ডায়রিয়া, হামের মতো নানা রোগ বালাইও ছড়িয়ে পড়ে। সংকট মোকাবেলায় এ বছর কাজ করছে সেনাবাহিনী ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

 

এদিকে, পানির উৎস ধরে রাখতে গাছপালা ও পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি সচেতনতা বাড়ানোর কথা বলছেন নাগরিক সমাজ।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মাঠ সংগঠক দিদারুল আলম রাফি জানান, আমরা দুর্গত এলাকায় খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত অনেক গ্রামে চলছে সুপেয় পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে। হয়তো সরবরাহে চাহিদা মেটাতে পারছি না।

তবে এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেই জানিয়ে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেবেকা আহসান।

Exit mobile version