parbattanews

দেশের অর্থনৈতিক অবদানে বন্দরের পরের অবস্থান চট্টগ্রামের পর্যটন খাত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

দেশের অর্থনৈতিক অবদানে চট্টগ্রাম বন্দরের পরের অবস্থান হতে পারে চট্টগ্রামের পর্যটন খাত। মহান সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আর সম্পদে ভরিয়ে দিয়েছেন প্রাচ্যের রানী খ্যাত বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে। প্রয়োজন শুধু সম্মিলিত সমন্বয়ে সময়োপযোগী পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন পর্ষদ (বারাবাপ) আয়োজিত মত বিনিময় সভায় এমন্তব্য করেন নের্তৃবৃন্দ।

নের্তৃবৃন্দ বলেন, সমৃদ্ধির সিংহদ্বার চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। আমদানী রপ্তানীর ৯০ শতাংশই যেমনটি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই সম্পন্ন হয়ে দেশের সিংহভাগ অর্থনৈতিক অবদান রাখছে, তেমনটি এর পরের অবস্থান হিসেবে অবদান রাখতে পারে চট্টগ্রামের পর্যটন খাত। সিতাকুন্ডসহ বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সাগরপাড়, মেরিন ড্রাইভ, কর্ণফুলী তীর, আনোয়ারা ও বাঁশখালী নিয়ে বিশাল এক পর্যটন জোন গড়ে তোলা সম্ভব।

নের্তৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। উন্নয়ন কর্মকান্ডে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে সর্বকালের রেকর্ড স্থাপন করেছেন। কারণ চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই পুরো দেশের উন্নয়ন। ধর্ম-বর্ণ কিংবা দলমত নির্বিশেষে দেশের শুভাকাঙ্খি সবাইকে একবাক্যে তা স্বীকার করতে হবে। আর কেউ যদি তার ব্যতিক্রম মন্তব্যে আসে, তাহলে বলতে হবে তিনি দেশের শত্রু। একইসাথে নেভাল হেড কোয়ার্টার, কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের হেড অফিসসহ রেলওয়ের হেড অফিস চট্টগ্রামে স্থানান্তরের দাবি জানান নের্তৃবৃন্দ।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যানজট নিরসনে রেল স্টেশন থেকে পতেঙ্গা বিমান বন্দর পর্যন্ত রেল সার্ভিস চালু, কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ওয়াটার বাস কিংবা ওয়াটার টেক্সি চালু করার দাবি জানানো হয়।
চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে নের্তৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেভাবে ব্যয় করে যাচ্ছেন তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছেনা। অপরিকল্পিত ও অব্যবস্থাপনার কারণে উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল জনগণ ভোগ করতে পারছেনা। একই সাথে চট্টগ্রামের কিছু হেরিটেজ সংরক্ষণে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

বারাবাপের সভাপতি এস. এম সিরাজুদ্দৌলার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি কাজী গোলাপ রহমান, এড. সৈয়দ কামাল উদ্দিন, উপদেষ্টা এমদাদুল হক চৌধুরী ও মোহাম্মদ ফরিদ, পরিকল্পনা সচিব জিয়াউদ্দিন খালেদ চেধুরী, মহাসচিব সালেহ আহমেদ সুলেমান, যুগ্ন-মহাসচিব ভূপেন দাশ ও মো. কুতুব উদ্দিন, প্রেস সচিব এম. হাসেম তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সচিব আলমগীর রানা, জনসংযোগ সচিব এহসান উল্লাহ জাহেদী, সাংস্কৃতিক সচিব দিলরুবা খানম, আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত ফটোসাংবাদিক শোয়েব ফারুকী, ড. সেলিম খান, মাহবুবুর রহমান, সাকিব নেওয়াজ চৌধুরী, মোজাম্মেল হক ও সোলায়মান বাদশা প্রমুখ।

Exit mobile version