parbattanews

দেড় কোটি টাকায় তৈরী হচ্ছে রাডার ভবন রক্ষাকারী দেয়াল

Fainal

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজার শহরের সার্কিট হাউসস্থ পাহাড়ের উপর অবস্থিত রাডার ভবনটি পাহাড় ধসের পর থেকে ঝুকিপূর্ণ হয়ে আছে। ৩ স্থরের দেওয়াল দিয়ে রাডার সেন্টার পাহাড়ের ভাঙ্গণ প্রতিরোধ কাজ চলছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে রাক্ষা পাবে রাডার ভবনটি। আর এই কাজের জন্য বরাদ্ধ করা হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এক বছর পর হলেও রাডার সেন্টার পাহাড়ের ভাঙ্গণ প্রতিরোধ কাজ শুরু হওয়ায় সন্তুষ্ট স্থানীয়রা।

রাডার হাউসে গিয়ে দেখা যায়, ২৫ জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছে পাহাড় ভাঙ্গণ প্রতিরোধের দেওয়াল তৈরীতে। এসব কাজ পরিচালনা করছে ভাঙ্গণ প্রতিরোধ বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাদিন এক টিকাদার।

দায়িত্বরত ঠিকাদার মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ মিলন জানান, কাজ শুরু হয়েছে এই মাসের ৪ তারিখ থেকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে। পাহাড়ের উপর অবস্থিত রাডার থেকে পাদদেশ পর্যন্ত ৩টি দেওয়াল দেওয়া হবে। প্রথম দেওয়ালটি হবে মূল রাডার থেকে ১শ ফুট দুরে। পরের দেওয়ালটি হবে প্রথম দেওয়াল থেকে ৮৫ ফুট দুরে। আর সর্বশেষ দেওয়ালটি হবে দ্বিতীয় দেওয়ালের ১৫ ফুট দুরে। প্রতিটি দেওয়ালের উচ্চতা হবে ৪ ফুট ৩ ইন্সি। আর প্রস্ত হবে প্রায় ১ ফুটেরও বেশি। এছাড়া প্রত্যেকটি দেওয়ালের দৈর্ঘ্য হবে ৬৬ ফুট। এই দেওয়ালগুলো মাধ্যমে রক্ষা পাবে গুরুত্বপূর্ণ রাডার ভবন ও পাহাড়টি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহাজান মিয়া বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমে রাডার সংলগ্ন পাহাড় ধ্বসে পাদদেশে অবস্থিত একই পরিবারের ৪ জন মারা গিয়েছিল। সেই থেকে ওই এলাকার লোকজন অতংকিত ছিল কখন রাডার ভবনসহ পাহাড়টি ধ্বসে পড়ে সেই আশংকায়। পাহাড় ভাঙ্গণ রোদ ও রাডার রক্ষার্থে এসব দেওয়াল দেওয়ায় তার খুবই খুশি। তবে বর্ষা মৌসুমে করার কতটুকু স্থায়ী হয় বা ঝুকি বাড়ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত। এর পরেও এই দেওয়াল দেওয়ায় সন্তুষ্ট।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার রাডার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসেম জানান, জাইকার তৈরী রাডারের ভিত্তি খুবই মজমুত। রাডারটি ভেঙ্গে পড়ার আশংকা না থাকলেও পাশ্ববর্তী ভিআইপি ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে আছে। এছাড়া পাহাড় রক্ষা ও ভবিষ্যতে রাডার ভবনের সমস্যা না হওয়ায় জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের অধিনে এ কাজ চলছে।

বর্ষার আগে কেন কাজ শুরু করা হয়নি এমন প্রশ্নে বলেন, রাডার সেন্টার পাহাড় ভাঙ্গণ প্রতিরোধে এই কাজটি বাস্তবায়নে জাইকা ও মন্ত্রানালয়ে কাগজপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে নানা পক্রিয়া ছিল। তাই সময় লেগেছে। তবে ভাঙ্গণ প্রতিরোধের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা না হলে ঝুকি থাকতে পারে।

Exit mobile version