কক্সবাজারে রাজারবাগীদের আস্তানা

ধর্মের দোহাই দিয়ে মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল

fec-image

কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর বড়ছরা এলাকায় গড়ে উঠেছে রাজারবাগী ভন্ডদের আস্তানা। ধর্মের নামে দখলে নিয়েছে মসজিদ, মাদরাসা। যেখানে বসে কোরআন সুন্নাহ বিরোধী, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। ফাদার লুপি প্রতিষ্ঠিত স্কুল দখল করে আস্তানাও গড়েছে রাজারবাগীরা। তারা ইসলামের মৌলিক আকিদার ধার ধারে না। কথিত পীর মমদু’র নামে আজান প্রচার করা হয়। বিস্তীর্ণ পাহাড়ি জনপদ দখলে নিয়ে সেখানে নিজেদের মতবাদ প্রচার করছে। রাতে আনোগোনা বাড়ে সন্দেহজনক মানুষের। রাজারবাগীদের নিয়ন্ত্রিত মসজিদে এলাকাবাসী নামাজ পড়তে পারে না। মোল্লা ফারুক নামক সিলেটের এক ব্যক্তি পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করছে। মিলাদের নামে পীর, পীরের স্ত্রী-পুত্রের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা দেয়া হয়। গ্রামের অশিক্ষিত মানুষদের সরলতার সুযোগে এসব করছে তারা। রাজারবাগীদের অপরাধকর্মের প্রতিবাদ করে স্থানীয় অনেকে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক ও গবেষক আহমদ গিয়াস বলেন, ধর্ম ব্যবসায়ী রাজারবাগী মোল্লাদের হাতে আমরা জিম্মি। তারা প্রতিনিয়ত সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ধর্মকে বিকৃত করে বক্তব্য প্রচার করে থাকে। মসজিদের তহবিলে জমা হওয়া দানের টাকার হিসেবও হয় না।

৯০ এর দশকে এই গ্রামে কয়েকশত পরিবারকে পূনবার্সন এবং একটি আশ্রয়ণ কেন্দ্র গড়ে তোলার পর এখানে বসতি শুরু হয়। পরবর্তীতে এখানে মসজিদ মক্তব, স্কুল, বনবিভাগের পিকনিক স্পট, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র ও অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এই গ্রামে স্থায়ী ও অস্থায়ী অধিবাসী মিলে প্রায় ৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই অশিক্ষিত ও জেলে-দিনমজুর-শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। তবে জেলা সদরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ উচ্চশিক্ষিত লোকজনও এই গ্রামে বাস করে। তবে এখানে শিক্ষিত লোকজনের মুখ খোলার সুযোগ নেই। কারণ, ২০০৮ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের পীর’ তকমা লাগিয়ে রাজারবাগী মোল্লারা এখানকার স্কুল ও মসজিদ দখল নেওয়ার পর থেকে এই গ্রামের শিক্ষিত সমাজ তাদের মূল্য হারিয়েছে, কথা বলার অধিকার হারিয়েছে।

বড়ছরাবাসী জানিয়েছে, রাজারবাগী মোল্লারা যাই বলে পীরের মুরীদরা তাই করে। জবর দখল করে রাখা গ্রামের মসজিদে তারা প্রতিদিনই কোরআন সুন্নাহ বিরোধী, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে গ্রামবাসীর মাঝে হিংসার বীজ পুঁতে দিচ্ছে। যে কারণে গ্রামবাসী একতাবদ্ধ হয়ে সমাজে কোন ভুমিকা পালন করতে পারছে না। রাজারবাগীরা ছাড়া অন্যদেরকে মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়া হয় না। ফলে এলাকার অধিকাংশ মুসল্লী তাদের বিরোধী হওয়ায় গ্রামের বাইরের মসজিদে অথবা ঘরে নামাজ পড়তে বাধ্য হয়।

সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজারবাগীরা তাদের বেতনধারী সন্ত্রাসী প্রকৃতির কিছু মুরীদ দিয়ে পুরো গ্রামবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। রাজারবাগী মোল্লা সিলেটের বাসিন্দা ফারুক নেপথ্যে এই গ্রামকে নিয়ন্ত্রণ করছে। রাজারবাগী মোল্লা ব্যতীত কাউকে দিয়ে এখানে ওয়াজ মাহফিল, বিয়ে পড়ানো, দাওয়াত কিংবা জানাযা পড়ানো যায় না। ওরা বলে- রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমান (লা,আ) একজন আওলাদে রাসুল, তিনি এ যুগের শ্রেষ্ঠ মোজাদ্দিদ, গউসুল আযম; তাকে মানতেই হবে। তারা মসজিদের মাইকে মিলাদের নামে প্রতিদিন সুর করে বলে- মমদুর (তাদের পীর) সাথে দিদার (সাক্ষাত করা) মানে নবীর সাথে দিদার (নাউযুবিল্লাহ)।

তারা আরো দাবি করে, ‘সাড়ে তিনশ কোটি মুসলমানের একমাত্র পীর মমদুর মুরীদ না হলে কেউ বেহেস্তে যেতে পারবে না। এরা কিছুদিন পর পর মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করে। এরা তাদের মুরীদ দিয়ে আশ্রায়ণের আশেপাশের কোটি কোটি টাকার সরকারি খাস জমি ও বনভূমি দখল করে এবং তা বিক্রি করে। মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর মিলাদের নামে তারা মাইকে তাদের পীর, পীরের স্ত্রী-পুত্রের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে।

রাজারবাগী শয়তানী মোল্লারা প্রায়শ: মসজিদে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানের নামে রাজারবাগ পীরের বিরোধীদের সমালোচনা করে এবং তারা ভিন্ন অন্যরা জাহান্নামী বলে ঘোষণা করে।
এরা মসজিদের মাইকে হিন্দুু, বৌদ্ধ, খৃস্টানসহ তাদের বিরোধী সকলেরই ধ্বংস কামনা করে মসজিদের মাইকে কথিত দোয়া প্রচার করে। অথচ আমাদের নবী মোহাম্মদ (স.) এই ধরনের দোয়া কখনও করেননি। এরা সন্ত্রাসী দিয়ে এবং প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে রাজারবাগ বিরোধীদের নানাভাবে বাধা প্রদান, মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে।

এরা মুসলমানদের শেষ নবী মোহাম্মদ (স.) এর পাশাপাশি তাদের পীর মমদু’র নামে একটি আজানও বানিয়েছে। একদিন ফজরের নামাজের পর তাদের আস্তানা (ফাদার লুপি প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুল) থেকে ওই আজান বাজানোর পর এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তারা ওই আজান আর বাজায়নি।

ফাদার লুপি প্রতিষ্ঠিত স্কুল দখল করে আস্তানা:

দরিয়ানগর বড়ছড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে প্রায় আধা একর জমির ওপর ফাদার লুপি প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাইমারী স্কুল ছিল। এটি ছিল এলাকার একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে ছিল শতাধিক শিক্ষার্থীও। কিন্তু ২০০৭ সালে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে স্কুলের জমি দখল করে সেখানে মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে রাজারবাগী আস্তানা গড়ে তোলার পর ওই শিশুরা আর পড়ালেখার সুযোগ পায়নি। ফলে শিক্ষাজীবন থেকে তারা ঝরে পড়ে। এখানে মাদ্রাসার নাম ব্যবহৃত হলেও আসলে কাউকে পড়ানো হয় না। বরং প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য ফারুক মোল্লা তার নিজ এলাকা সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫/৬ টি শিশুকে এখানে এনে রেখেছে। বর্তমানে রাকিব, নেজাম, আনচার, হাবিব, ইসতিয়াক ও মাহবুব নামে ৬টি শিশু থাকে, যাদের কেউই স্থানীয় নয়। অন্তত ১০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা বিশাল এই আস্তানায় বাইরের এলাকার মাত্র ৬টি শিশু রেখে দেয়া রহস্যজনক বৈকি।

৪/৫ বছর আগে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি দল তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বর্তমান পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান এবং তৎকালীন এএসপি রায়হান কাজেমীর নেতৃত্বে এই কথিত মাদ্রাসাটি পরিদর্শনে গেলে ৬টি শিশু দেখতে পান। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের একজন এডিসির পরিদর্শনে এখানে ৭টি শিশুটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে ওখানে মাত্র ২/৩ জন শিশু নিয়মিতভাবে থাকে। মাদ্রাসার নামে ১৩ বছর ধরে স্কুলের জমি দখলে রাখলেও স্থানীয়রা ওই আস্তানাকে মাদ্রাসা বলে না, বলে না মাদ্রাসা পাহাড়ও! ফলে এই পাহাড়টি এখনও স্কুল পাহাড় নামেই পরিচিত।

রাজারবাগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, এরা মূলত: জমি দখলে রাখার জন্যই মাদ্রাসার নামে হাতেগোনা কয়েকজন শিশুকে ওই স্কুলে (বর্তমানে কথিত মাদ্রাসা) রাখে। এরা একই শিশুকে তাদের পরিচালিত একাধিক মাদ্রাসার ছাত্র দেখিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়।
আস্তানা থেকে গুজব তৈরি ও প্রচার:

১৩-১৪ বছর আগে ফাদার লুপি প্রতিষ্ঠিত প্রাইমারী স্কুল জবর দখল করে আস্তানা গড়ে তোলার পর রাজারবাগী মোল্লারা সেখান থেকে নিয়মিত গুজব তৈরি করে মুরীদদের মাধ্যমে সেই গুজব সম্মিলিতভাবে প্রচার করে গুয়েবল্সীয় কায়দায় সত্য হিসাবে প্রচারের চেষ্টা করে। এরা আসলে একটি ধোঁকাবাজদের গ্যাং মাত্র। এরা নিজেরা নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বা অন্য কোন ঘটনা ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে এরা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। অথচ পবিত্র কোরআনে ধোঁকা দেওয়া ও প্রচারকে হত্যার মতো অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। সুতরাং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য রাজারবাগীরা মারাত্মক হুমকী স্বরূপ।

আস্তানায় রাতের আধাঁরে সন্দেহজনক মানুষের আনাগোনা:

স্কুল জবর দখল করে গড়ে তোলা রাজারবাগী আস্তানায় প্রায়ই সন্দেহজনক মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। এদের মধ্যে অনেকেরই সামরিক প্রশিক্ষণ আছে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। রাতের আঁধারে বনের মধ্যে ও সৈকতের নির্জন এলাকায় এদের বৈঠক করতে দেখা যায়।

রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা:

রাজারবাগীরা দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত। এরা করোনা স্বাস্থ্যবিধিসহ সরকারি নীতির বিরুদ্ধে মসজিদে বক্তব্য ও লিফলেট ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এরা পহেলা বৈশাখ পালনকে এবং ছবি তোলা ও খেলাধুলাকে হারাম বলে প্রচার করে থাকে। এরা সওয়াবের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে পীরের দরবারে নিয়ে যায় এবং আর্থিকভাবে হয়রানি করে।

এরা তাদের বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথার গুজব তৈরি করে এবং সেই মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সম্মিলিতভাবে সেই গুজব প্রচার করে। মসজিদের মাইকে হিন্দুু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ধর্মাবলম্বী ও রাজারবাগ বিরোধী মুসলিমদের ধ্বংস কামনা করে মসজিদের মাইকে কথিত দোয়া প্রচার করে, যা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকীস্বরূপ।

সরকারি জমি দখল, খাল দখল, খালের গতিপথ পরিবর্তন:

দরিয়ানগর বড়ছড়ায় আস্তানা গড়ে তোলার পর রাজারবাগী মোল্লারা তাদের সন্ত্রাসী মুরীদদের দিয়ে একের পর এক সরকারি জমি ও নিরীহ মানুষের জমি জবর দখল করে নিতে শুরু করে। এরা গ্রামে প্রবেশের পথে বড়ছড়া খালের পশ্চিম পাড় দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে এবং পরে সেই মার্কেটের একটি দোকান বাদে বাকী দোকানগুলো লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যে বিক্রি করে। এরা ভেটেরিনারি বিশ^বিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্রের ফটকের সামনে বড়ছড়া খালের গতিপথ পরিবর্তন করে সেই জমি দখল করে দোকান, বসতবাড়ি নির্মাণ করে। খালের জমি দখল ও গতিপথ পরিবর্তনের মাধ্যমে এরা ভয়ংকর পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এই চক্রের সদস্যরা সরকারি বনাঞ্চল থেকে নিয়মিত বৃক্ষনিধন ও পাচার করে থাকে। আর এই পাচারকাজে ব্যবহারের জন্য রাজারবাগীদের ভ্যানও রয়েছে।

মামলাবাজি ও চাঁদাবাজি:

এদের বাধা দিলে দেশের বিভিন্ন থানায় মিথ্যা মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে রাজারবাগীরা। এভাবে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও জমি দখল করে থাকে।এরা জমি দখলের জন্য বড়ছড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কক্সবাজার থানায় মানব পাচারসহ নানা মিথ্যা অভিযোগে চারটি মিথ্যা জঘন্য মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এসব মামলায় উক্ত আমির হোসেন দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করেন। এসময় তিনি রাজারবাগী পীরের অনুসারী পুলিশ সদস্যদের হাতে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে শরীরের কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। মানব পাচার মামলাসহ চারটি মিথ্যা মামলায় আমির হোসেনকে এখনও দেশের বিভিন্ন আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। আর ভিটেবাড়ি বিক্রি করেই তাকে যোগাতে হচ্ছে মামলার খরচ। অবিলম্বে এসব মামলা বাতিল/স্থগিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে।

উগ্রবাদিদের কবল থেকে দরিয়ানগর বড়ছড়া গ্রামবাসীকে রক্ষায় করতে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আতিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, সাংবাদিক ও গবেষক আহমদ গিয়াস, মাহাবুব আলম, মোশাররফ হোসেন পারভেজ, আবু ফরহাদ হীরু, লুৎফুর রহমান কাজল, আসাফ উদ্দীন, আজিজুর রহমান, আব্দুস সালাম, আমির হোসেন, ইমন, ফারুক হোসেন, মাহাবুব আলম, আব্দুর রশিদ, আব্দু সত্তর, মো. শফি, মো. রুবেল, রবিউল ইসলাম, মো. কাদের, মো. তানজিল, শফি আলম, নজির আলম, আমির হোসেন, সাহেদ আলম বাচ্চু, আবু তাহের সওদাগর, হাজী নুরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ, আরিফুল ইসলাম, শাকিল, আলী হোসেন, নুরুল আবছার, ইমাম হোসেন, শাহ আলম, শাহ জাহান, আবুল কালাম, মোঃ মোফাসসেল, মো. রুবেল, ইউসুফ , মো. ইসহাক প্রমুখ।

এদিকে, রাষ্ট্রবিরোধী-সমাজবিরোধী গোষ্ঠী রাজারবাগীদের আস্তানা বন্ধের জন্য দেশের উচ্চ আদালত সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। সেসাথে তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান ও জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনাও রয়েছে।

আদালতের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে বড়ছড়া থেকে রাজারবাগীদের সকল আস্তানা উচ্ছেদ করে মসজিদ ও স্কুলকে গ্রামবাসীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তাদের।

সেই সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার স্বার্থে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে রাজারবাগীদের আস্তানা উচ্ছেদ এবং শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি সর্বমহলের।

আদালতের আদেশ ও এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের নিকট জানতে চাইলে বলেন, এখনো পর্যন্ত এরকম অভিযোগ আমার হস্তগত হয়নি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন