parbattanews

ধর্ষণের পর এনজিওকর্মীকে হত্যার অভিযোগে রোয়াংছড়িতে গণধোলাইয়ে নিহত ১ গ্রেফতার ১

Bandarban las pic-7.6

স্টাফ রিপোর্টার
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এনজিওকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতার গণধোলাইয়ে মুসলেম মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাজালিয়া ইউনিয়নে বলে জানা গেছে। পাহাড়ী নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুলিশ অংজাই পাড়া থেকে দেবং বিজয় তঞ্চঙ্গ্যা (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের স্বাস্থ্যকর্মী ও আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা উ প্রু মারমার মৃতদেহ শনিবার সকালে রোয়াংছড়ি-ব্যাঙছড়ি সড়কের নারেসাতং পাহাড়ের নীচ থেকে উদ্ধার করে রোয়াংছড়ি থানায় আনা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আধিবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে, হত্যার ঘটনায় স্থানীয়রা মুসলিম মিয়া (৩৫) নামে এক কাঠুরিয়াকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সাত্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে রোয়াংছড়ি উপজেলার ব্যাঙছড়ি পাহাড় থেকে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের স্বাস্থ্যকর্মী ও আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা উ প্রু মারমার (২৩) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ৫ জুন রোয়াংছড়ি সদর থেকে নিজ বাড়ি অংজয় পাড়ায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি। মৃতদেহের শরীর ও মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে মৃতদেহ পাহাড়ের নিচে ফেলা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এদিকে মুসলেম মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাঙ্গালীরা। তারা এ হত্যার তীব্র নিন্দা ক্ষোভ জানান।

 

    

Exit mobile version