ধ/র্ষণ ঘটনা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ধাবিত না করার অনুরোধ সর্ব মিত্র’র


খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা এবং এ ঘটনা কেন্দ্র করে তিন পার্বত্য জেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি নিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সর্ব মিত্র চাকমা। তিনি স্থানীয় জনগণকে আইনের প্রতি ভরসা রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দিকে ধাবিত না করে ধর্ষকদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দিকে নজর দিতে হবে।’
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গতবারের মতো আমরা যেন অনিক চাকমাদের না হারাই। আইনগতভাবে যেন এসব অপরাধের সুবিচার নিশ্চিত হয় সেদিকে নজর রাখুন। পাশাপাশি, ধর্ষণের শিকার শিশুটির মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, সামাজিকভাবে শিশুটি এবং তার পরিবার যাতে হেনস্থার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করুন।’
২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দেয়া ওই ফেইসবুক পোস্টে সর্ব মিত্র চাকমা উল্লেখ করেন, খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি সহ তিন পার্বত্য জেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক এই সময়ে গত বছর আগেও খাগড়াছড়িতে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় অনিক চাকমা সহ বেশ ক’জনের মৃত্যু হয়। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রশাসন তাদের অবস্থান থেকে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনায় জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়েছেন। উক্যানু মারমা নামের এক আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ধর্ষণের মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা মানবিক, একই সাথে গণতান্ত্রিক অধিকার। উক্যানু মারমা যদি কোনো অপরাধের সাথে যুক্ত হন তাহলে তা প্রকাশ করে আটক করা উচিত ছিল। হঠাৎ আন্দোলনকারীকে তুলে নিয়ে যাওয়া পাহাড়ের স্থানীয় শান্তিপ্রিয় জনগণকে আরো বেশি প্রশাসন বিমূখ করবে এবং প্রশাসনের প্রতি স্থানীয় জনগণের মধ্যে অনাস্থা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। তাই প্রশাসনের উচিত শান্তি বজায় রাখতে আরো পরিপক্ব আচরণ করা। স্থানীয় জনগণের প্রতি আইনের প্রতি ভরসা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’