parbattanews

ধ্বংস করা ইয়াবা’য় রং লাগিয়ে পুনরায় বিক্রি

dsc_0071-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রশাসনের জব্দকৃত ইয়াবা আদালত প্রাঙ্গনে বালতির পানিতে চুবিয়ে ধ্বংস করা হয়। পরে ওইসব ইয়াবা বড়ি নিয়ে গিয়ে শুকিয়ে লাল রং লাগিয়ে পুনরায় বিক্রি করছে মাদক বিক্রেতারা। বেশ কিছুদিন ধরে এই ঘটনা ঘটছে।

সচেতন লোকজন বলছেন, মাদ্রকদ্রব্য ধ্বংসের সময় ভালভাবে নষ্ট না করায় এমনটা সম্ভব হচ্ছে।

এদিকে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, প্রত্যেকবার খুব ভালভাবে পানিতে গুলিয়ে ইয়াবা ধ্বংস করা হয়। সুতরাং এ ধরনের হতে পারেনা।

জানা যায়, কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় পানিতে গুলিয়ে ধ্বংস করা ইয়াবা শুকিয়ে রং লাগিয়ে পুনরায় বিক্রি করছে মাদক বিক্রেতারা। আর এ কাজ করছে বেশিরভাগ ছিন্নমূল মাদকসেবী ও বিক্রেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছে কালু, বাহাদুর, ফারুক, ইসলামসহ আরও অনেকে।  এসব মাদক বিক্রেতারা অপেক্ষায় থাকে কখন আদালত প্রাঙ্গনে ইয়াবা ধ্বংস করা হবে। বালতি বা গামলায় পানি দিয়ে ইয়াবা ধ্বংসের পর তা ফেলে দেয়া হয় ড্রেইনে। আর ছিন্নমূল মাদক সেবী ও বিক্রেতারা ড্রেইন থেকে তুলে নেয়। আর শুকাতে দেয় গোপন কোন স্থানে। পরে বাজারে পাওয়া শুকনা রং লাগিয়ে তা বিক্রি করে। তারা এসব বিক্রি করেন ‘মাদক পল্লী’ খ্যাত বড় বাজারের রাখাইন পাড়া ও মাদকসেবীদের কাছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিন্নমূল এক মাদক সেবী জানান, তিনি বেশ কয়েকবার ধ্বংস করা ইয়াবা নিয়ে শুকিয়ে রং লাগিয়ে বিক্রি করেছেন। তিনি এসব ইয়াবা সংগ্রহ করেছে ড্রেইন থেকে।

এ ব্যাপারে এডভোকেট সুলতান আহম্মদ জানান, ছিন্নমূল মাদক সেবীরা অপকর্ম করবেই। এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত যারা মাদকদ্রব্য ধ্বংস করে তাদের। তাদের নিশ্চিত করা উচিত ইয়াবাগুলো ভালভাবে ধ্বংস হয়েছে কিনা। প্রয়োজনে গুড়ো করা দরকার।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবোধ কুমার বিশ্বাস জানান, ভ্রাম্যমান আদালত এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে মামলার প্রক্রিয়া ছাড়া জব্দকৃত মাদক ধ্বংস করা হয়। সর্বশেষ কয়েকমাস আগে মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে কোর্ট বিল্ডিংয়ের খোলা জায়গায়। ওই সময় বালতি ভরে ইয়াবা ধ্বংস করা হয় পানিতে ভিজিয়ে। ভালভাবে গুলিয়েই তা ধ্বংস করা হয়। আর তা ড্রেইনে ফেলে দেওয়া হয়।

Exit mobile version