parbattanews

নতুন প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তিতে ভারত ও মিয়ানমার

দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত নতুন একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে ভারত ও মিয়ানমার। ভারতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সফর চলাকালে সোমবার (২৯ জুলাই) চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়। এ সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য হলো, প্রশিক্ষণ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও যৌথ নজরদারির ক্ষেত্রে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক গভীর করা।

বছরের শুরুতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত সীমান্ত নিরাপত্তা অভিযান চালায় ভারত ও মিয়ানমার। সীমান্তে সহযোগিতা ছাড়াও সম্প্রতি মিয়ানমারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামাদির সরবরাহকারী হিসেবে নিজেদের গুরুত্ব বাড়িয়েছে দিল্লি। এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতে ভারত দেশীয়ভাবে উৎপাদিত টর্পেডো মিয়ানমারের নৌবাহিনীর কাছে সরবরাহ করেছে। এগুলোর সর্বমোট মূল্য ছিল তিন কোটি ৭৯ লাখ ডলার। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্রমাগত জোরদার হওয়ার মধ্যে গত ২৫ জুলাই থেকে ভারত সফর শুরু করেছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়াং। ২ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে থাকবেন তিনি। তার এ সফরের মধ্যেই সোমবার নতুন প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আলোচনা শেষে ভারত ও মিয়ানমার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ভারতে অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি নামে যে নীতিমালা বিদ্যমান রয়েছে তাতে মিয়ানমার হলো গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।’

ভারতের প্রতিরক্ষা দফতরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো, যৌথ মহড়া এবং মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়ে পর্যালোচনা, যৌথ নজরদারির মাধ্যমে সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরালো করা ও সক্ষমতা উৎপাদন, চিকিৎসাগত সহযোগিতা, দূষণ মোকাবিলা ওবং নতুন অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এ আলোচনা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনা থাকলেও এ নিয়ে ভারত কখনও সরাসরি নিন্দা জানায়নি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মিয়ানমারে ভারতীয় প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের সফরের সময়ও রোহিঙ্গা নিপীড়ন প্রশ্নে উদ্বেগ জানানো হয়নি।

সূত্র: সাউথএশিয়ানমনিটরডটকম

Exit mobile version