“নদীর প্রাণ আছে , তাকে বাঁচতে দাও”
টেকনাফে ৩ দিনব্যাপী উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী

নদীর সৌন্দর্য দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে পর্যটকরা আকৃষ্ট হবে

fec-image

যেখানে নদী দখল হবে সেখানে অভিযান চলবে। এজন্য নদী রক্ষা কমিশন হয়েছে, নৌ পুলিশ হয়েছে। দখল রোধে কঠোর অবস্থানে সরকার। এতে কারও ছাড় নেই। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

টেকনাফে ৩ দিনব্যাপী উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিএ)’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ ঘাটে এর উদ্বোধন করেন।

এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন- ‘নদীর সৌন্দর্য দেশে এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। বিদেশিরা আকৃষ্ট হবে। সেজন্য সকলে মিলে নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী রক্ষা করতে পারলে বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমনে আসবেন। কিছুদিন আগেও গঙ্গা বিলাস নামের একটি জাহাজ করে সুইজারল্যান্ডের পর্যটকরা ভ্রমনে এসেছেন। আগামী ২৬ তারিখ আরো একটি বিদেশি জাহাজ ভ্রমনে আসবেন। যেখানে বৃটিশ পর্যটকরা থাকবেন। তাই নদীর সৌন্দর্য রক্ষা ও পরিবেশ ঠিক রাখতে পারলে ভবিষ্যতে আরো পর্যটক এই টেকনাফে আসবে’।

এছাড়া নাফ নদীর নাব্যতা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল করতে মায়ানমার সীমান্ত ঘেষে যেতে হয়। দুই দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাই চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে না। উভয় দেশ মিলে ড্রেজিং করে যাতে সম্পুর্ন নদীর নাব্যতা রক্ষা করতে পারি সেই চেষ্টা চলছে। নদীর নাব্যতা করতে গিয়ে পরিবেশের কোন বিরুপ না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে হবে’।

ইতোমধ্যে টেকনাফে পর্যটন সুবিধার জন্য অনেক কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। জইল্যারদ্বীপ পর্যটন কেন্দ্র হবে এবং সেখানে আরো একটি জেটি নির্মান করা হবে। আগামী তিন বছরে সেগুলো দৃশ্যমান দেখতে পাবেন। সেন্টমার্টিনের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান।

নদী দখল বিষয়ে জানতে চাইলে জানান, ‘যেখানে নদী দখল হবে সেখানে অভিযান চলবে। এজন্য নদী রক্ষা কমিশন হয়েছে, নৌ পুলিশ হয়েছে। দখল রোধে কঠোর অবস্থানে সরকার। এতে কারও ছাড় নেই। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে’।

এছাড়াও ইকরিমিকরির উদ্যোগে ও বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় ‘ নদীর প্রাণ আছে, তাকে বাঁচতে দাও ‘ শিরোনামে সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী আলোকচিত্র প্রদর্শন করেন।

এদিকে, দখল-দূষণে নিত্য শিকার বাংলাদেশের নদ নদী। অথচ নদী শুধু দেশের প্রাণই নয়, সচল রেখেছে অর্থনীতিকেও। বাংলাদেশের মতো ভাটি অঞ্চলে নদী যেন অবতীর্ণ হয়েছে মায়ের ভূমিকায়। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রবাহমান নদীর গুরুত্ব অপরিসীম । সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং প্রকাশনী সংস্থা ইকরিমিকরি সাধারন মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্যে কাজ করছে ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষও হারানো নদীপথ ও নদী রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে । তারা নদীকে তুলে দিতে চায় নদী প্রেমিক মানুষের কাছে । ইকরিমিকরির উদ্যোগে ও বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় ‘ নদীর প্রাণ আছে , তাকে বাঁচতে দাও ‘ শিরোনামে এ বছর দেশের চারটি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাকি প্রদর্শনীগুলো অনুষ্ঠিত হবে খুলনা, বরিশাল ও ঢাকায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, গন্যমান্য ব্যক্তি ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন