parbattanews

নবগঠিত উপজেলার প্রথম ইউপি নির্বাচন: ১১০ প্রার্থীর জরিমানা সাড়ে পাঁচ লাখ

5-35

গুইমারা প্রতিনিধি:

আগামী ৩১ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির নবগঠিত উপজেলা গুইমারা’র তিন ইউনিয়ন (গুইমারা সদর, হাফছড়ি, সিন্দুকছড়ি) পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ১১৩জন প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ১১০জন প্রার্থীকে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রবিবার সকাল থেকে ১০টা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: রায়হানুল হারুন এ জরিমানা করেন। এ সময় প্রার্থীরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেয়ালে লাগানো সকল পোষ্টার সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন। বাকী ৩জন প্রার্থীর মধ্যে ২জন বিনা প্রতিদন্ধিতায় বিজয়ী ও অপর একজন প্রার্থী কোন প্রকার পোষ্টারিং না করায় তারা ভ্রাম্যমান আদালতের আওতা মুক্ত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেড ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: রায়হানুল হারুন জানান, নির্বাচনকে ঘিরে উৎসাহ উদ্দিপনার মাঝে বেশ ক’জন প্রার্থী মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা, শো-ডাউন, মিছিল, গণসংযোগ সহ প্রায় প্রত্যেক প্রার্থীই দেয়ালে পোষ্টার লাগিয়ে আচরণ বিধি লঙ্গন করেছেন। আমরা গত ২ দিন আগে আদেরকে নিয়ে মিটিং করেছি এবং সবাইকে আচরণ বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে, সবাই আমাদের কথা দিয়েছিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে তারা দেয়ালে বা বিভিন্ন বাড়িতে লাগানো তাদের সকল পোষ্টার সরিয়ে নিবে। কিন্তু ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা তাদের কথা রাখেনি, তাই ভ্রাম্যমান আদালতে তাদের জরিমানা করা হলো। তিনি আরো জানান, স্বল্প জরিমানার মাধ্যমে প্রথম বারের মত তাদের ছাড় দেয়া হলো। তবে পরবর্তীতে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা, এমনকি সরাসরি প্রার্থীতা বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে একই দিন টানা ৬ঘন্টা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১১০ প্রার্থীকে জরিমানা ও মোটা অংকের অর্থ (৫ লাখ ৫০ হাজার) আদায় করার বিষয়টি বর্তমানে টক অব দ্যা গুইমারাতে পরিনত হয়েছে। এটি শুধু  খাগড়াছড়িতেই নয়, দেশের সব চেয়ে বড় মোবাইল কোর্ট বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কারো কারো মতে উপজেলা রূপান্তর হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনটি যেমনি ইতিহাসে স্থান পাবে তেমনি এত বড় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়টিও একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।

Exit mobile version