নাইক্ষংছড়িতে একরাতে ১৬টি দোকান ও বাড়িতে ডাকাতি ডাকাত দলেল ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ : আহত ৩

Robbery

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারিতে রবিবার গভীর রাতে ১১টি দোকান এবং ৫টি বাড়িতে গণ-ডাকাতি হয়েছে। বাইশারি ইউনিয়নের বটতলী আলী মিয়া পাড়ায় এ ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন বাধা দিতে এগিয়ে এলে ডাকাত দল ১০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে দু’গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। ডাকাতের পিটুনিতে মারাত্মক আহত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের  দফাদার ও গৃহকর্তা নুরুল আমিন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনাসহ গত তিনদিনে বাইশারি এলাকায় ৪টি বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, প্রায় একঘন্টাব্যাপী এ ঘটনা চলাকালে ডাকাতদের হাতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র থাকায় কেউ তাদের বাধা দিতে সাহস পায়নি। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

রাত সোয়া ১২টায় প্রথমে বটতলী বাজারের ১১টি দোকানে লুটপাটের পর ডাকাত দলের সদস্যরা বাজার সংলগ্ন আলী মিয়া পাড়ায় নুরুল আমিন দফাদার, আবদুর জব্বার ফরাজী, সেকান্দর ফরাজী, সিদ্দিক ফরাজী, নজির আহমদের ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার এবং মুল্যবান মালামাল লুটে নেয়।

বাইশারি তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আবদুর রহিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ দুং চ অং (২৭) এবং  উ সাই মং (২০) কে বাইশারি বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৩ থেকে ২৪ সদস্যের এই ডাকাত দলের কাছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং দা-ছুরি ছিল।
এলাকাবাসী জানান, বাইশারি এলাকায় ১০৮টি উৎপাদনে থাকা রবার বাগান ও বাণিজ্যিক ফলজ বাগানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় বর্তমানে বাইশারি এলাকায় কমপক্ষে ৩০ হাজার লোক বসবাস খরছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অক্ষমতার কারণে তাদের নিরাপত্তায় তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছেনা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাব-ইন্সপেক্টর আবদুর রহিম জানান, বাইশারি তদন্ত ফাঁড়ির অধীনে তিনিসহ মাত্র ১৩জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। ফলে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ নিয়মিত তদন্ত কাজে সমন্বয় ঘটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা এই এলাকায় রবার শিল্পকারখানা এবং এটি একটি শ্রমিক বহুল এলাকা হওয়া স্বত্বেও বিশাল এই এলাকায় নজরদারির জন্যে পুলিশের হাতে কোন যানবাহন না থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই তাদেরকে সরকারি দায়িত্ব করতে হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন