স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ঝলপাই তলী এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি বিলীন হচ্ছে বনভূমি জীব জন্তুরা হরাচ্ছে আবাস। স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের আচরণ রহস্যজনক বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ চৌধুরীর ছোট ভাই মো. বারেক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘুমধুম বেদবুনিয়া এলাকার চিহ্নিত ভূমি দুস্য রশিদ আহম্মদ ও তুমব্রু এলাকার ভূমি সন্ত্রাস আমির বশর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন, রেজু বিট কর্মকর্তা ও লামা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
স্থানীয়রা জানান, ঝলপাইতলী এলাকার সরকারি বনভূমির পাহাড় কেটে প্রতিদিন কয়েকটি ট্রাক যোগে মাটি বারেকের তুমব্রু বাজার এলাকায় মাটি ভরাট করছে। এ বিষয়ে বারেক বলেন, পাহাড় কাটলে কি হয়, এখানে তো সব আমাদের। তাইলে পাহাড় কাটতে দোষকি।
রশিদ জানান, শ্রমিকেরা পাহাড় কাটে আমি কি করব। আমির বশর বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে বারেক ও রশিদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। রেজু বিট কর্মকর্তা মো. ছৈয়দ আলম পাহাড় কাটা সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলে জানান। লামা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুস ছবুর বলেন, আমি অন্য রেঞ্জে বদলি হয়ে গেছি, তার পরেও পাহাড় কাটা জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগী বন কর্মকর্তাকে জানাব।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সরর্দার শরিফুল ইসলাম বলে, অতি শিগ্রই পরিবেশ ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।