নাইক্ষ্যংছড়িতে আবারো কৃষক অপহরণ
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এক কৃষককে অপহরণ করেছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভোর ৪টায় দিকে উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লংগদুর মূখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতের নূর আহমদ (৪০) বাঁকখালী মৌজার কালাচাঁদ বাপের চরের মৃত নাদেরুজ্জামানের ছেলে।
জানা যায়, অপহরণকালে পরিবারের ৬ জন সদস্যসহ নূর আহমদ বাড়িতে ঘুমচ্ছিলেন। অপহরণ ঘটনার বাকি ৫ জন সে বাড়িতে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
স্থানীয় দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি খুব সকালে খবর পেয়েই নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনর্চাজকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি গোয়েন্দাকেও অবহিত করা হয়েছে। তিনি এ কৃষকের দ্রুত মুক্তি চায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এ প্রতিবেদককে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টা বা ৪টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন মুখোশ ও হাফপ্যান্ট পরা স্বশস্ত্র লোকজন নূর আহমদের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে তার বাড়িতে থাকা ৬ জন থেকে শুধু নূর আহমদকেই ঘুম থেকে উঠিয়ে চোখ বেঁধে উত্তর দিকে নিয়ে যায়। তারা সবাই বাঙালি চেহারার। অপহরণ করার সময় তারা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছে। তবে ১ জন সাধু ভাষাতে বলেছে।
তারা আরো জানান, ২০১৬ সালে অপহৃত নূর আহমদের ভাই ফরিদুল ইসলামকেও এ বাড়ি থেকে অপহরণ করেছিল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাকে অনেক কষ্টে ৭৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মূুক্ত করা হয়েছিল।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, ঘটনার বিষয়ে জেনেছেন। তার এলাকার ১১ নম্বর রাবার বাগানের পাশে ভোরে একদল রাবার শ্রমিকদের মুখোমুখি হয় সে অপহরণকারীরা। তারা দক্ষিণ দিক থেকে বাইশারী ইউনিয়নের হরিনখাইয়ার আগা হয়ে উত্তর দিকে যাচ্ছিল । তাদের দিকে তাকানোর অপরাধে রাবার শ্রমিকদের মারধর করে ১টি মোবাইলও কেড়ে নিয়েছে অপহরণকারীরা। যা থানার ওসিকে তিনি অবহিত করা হয়েছে।
অপহরণ ঘটনার কথা স্বীকার করে থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়ে অপহরণকারীকে উদ্ধারে অভিযানে নেমেছেন। তার টিম জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তাকে মুক্ত করতে।
