parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে উৎসাহ উদ্দীপনায় পহেলা বৈশাখ পালন

Boysak pic-2 copy

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-সম্প্রদায়ের অন্যতম সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি এবং বাঙলার ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে। এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি পল্লী গুলোতেও চলছে উৎসবের আমেজ। পুরনো বছরের সকল দুঃখ, গ্লানি মুছে নতুন বছরকে বরণ করতে পহেলা বৈশাখে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

শুক্রবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামালের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উন্মুক্ত মঞ্চে গিয়ে বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। এসময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নতুন বছর উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়াও মাহা সাংগ্রাই ১৩৭৯উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে ধুংরী হেডম্যান পাড়া সাংগ্রাই উদযাপন কমিটি।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী, অধ্যক্ষ ওআম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহমদ, সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের উপজেলা ব্যবস্থাপক একেএম রেজাউল হক, সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইমরান মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইসমাইল হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওজিফা খাতুন রুবি, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন খালেদ, কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মামুন শিমুল, ছাত্রলীগ সভাপতি বদুর উল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিআরডিবির জুনিয়র অফিসার মো. শাহ আলম এবং সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিচালানা করেন প্রধান শিক্ষক শুশংকর রুদ্র।

এদিকে বর্ষবরণ বৈসাবি উপলক্ষে নাইক্ষ্যংছড়ি ধুংরী হেডম্যান পাড়া থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে ধুংরী হেডম্যান পাড়ায় আনন্দ উৎসবে মিলিত হয়। বৈসাবিকে ঘিরে এ উপজাতীয় পল্লীতে জলকেলী বা ওয়াটার ফেস্টিবল, উপজাতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাংগ্রাই র‌্যালি এবং প্রার্থনা সভাসহ মারমাদের প্রাচীন ও বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

Exit mobile version