নাইক্ষ্যংছড়িতে কাঠ পাচারের প্রতিযোগিতা

11-04-2016 Kat copy

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় জ্বালানী কাঠ সংগ্রহের নামে কাঠ পাচারের প্রতিযোগীতায় মেতে উঠেছে বন সংলগ্ন এলাকার একাধিক পাচার চক্র। ওই চক্রের সদস্যরা প্রতিনিয়ত নাইক্ষ্যংছড়ি বন বিভাগ, তুলাতলী বনবিট, রেজু বনবিট, বাইশারী সাঙ্গু বন রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিরাতে শতশত মন জ্বালানী কাঠ সংগ্রহের পাশাপাশি বনের মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছসহ বনজ সম্পদ লুটে নিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগীতায় হঠাৎ করে কাঠ পাচারের প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, চাকঢালা, ছাগলখাইয়া, লেমুছড়ি, তুলাতলী, রেজুসহ বাইশারীর বহু এলাকা হতে স্থানীয় পাচারকারী চক্র বনরক্ষীদের ম্যানেজ এই কাজ করে আসছে। বন বিভাগ এসব দেখার পরও রয়েছে নিশ্চুপ ভূমিকায়। তবে গত কয়েক মাসে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি বিপুল পরিমাণ কাঠ আটক করতে সামর্থ হয়।

বন অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমির পরিমাণ ৬ হাজার ১১৫ একর। তার মধ্যে সংরক্ষিত বনের পরিমাণ ৪ হাজার ৮৪০ একর। কিন্তু স্থানীয় বন বিভাগ কখনো এ তথ্যটি নিশ্চিত করতে পারে না যে তাদের বনে পরিমাণ কত। সাংবাদিকের প্রশ্নে সরকারি বনায়ন নেই বলে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে থাকেন বন কর্মকর্তারা।

আরো জানা গেছে, এক শ্রেণির অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী ও জোত মালিকরা বাগান কিনে নিয়ে ট্রান্সপোর্ট পারমিটের মাধ্যমে নির্বিচারে উজাড় করে চলছেন অত্র এলাকা বিভিন্ন বনাঞ্চলের মূল্যবান বাগান। অসাধু পাচারকারীদের কবলে পড়ে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে সবুজ পাহাড় গুলো। মালিকরা বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যে বাগানটিতে দুই হাজার ঘনফুট কাঠ হবে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা সেটি মাপে বেশি দেখিয়ে তিন হাজার ঘনফুটের বাগান বলে পরিবহন পারমিট ইস্যু করেন। বিনিময়ে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা। পরবর্তীতে বৈধ পারমিট দিয়ে অবৈধভাবে অবশিষ্ট কাঠ সংগ্রহ করা হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন