নাইক্ষ্যংছড়িতে কোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের চেষ্টা

Jomi dokol pic (1)

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালা সড়কের চাতুজাই চাকপাড়া সংলগ্ন এলাকায় কোটি টাকা মূল্যের জমি জবর দখলের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভূমিদস্যুর দল রাতের আঁধারে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে জমি দখলের এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সাথে জড়িতদের সর্তক করে দিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাতুজাই চাকপাড়া এলাকায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের জমি সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে ছন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২৭০নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজার আর/১৮৩নং হোল্ডিং এর ১ একর ৩০ শতক জমি ক্রয় করেন নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যবসায়ী পাড়া এলাকার আলহাজ্ব ফজল কবির। তৎসময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত জমি বিক্রি অঙ্গিকারনামা সম্পাদন করা হয়। সে থেকে জমির মালিকানা ভোগ করে আসছিল আলহাজ্ব ফজল কবির গং।

সম্প্রতি ছালামীপাড়া এলাকার জনৈক আবদুর রহমান তার পূর্বেকার বিক্রিত জমি পুনরায় দখলের পায়তারা শুরু করে। এ ঘটনায় গত ২৭ মে আলহাজ্ব ফজল কবিরের পক্ষে তাঁর ছেলে শাহাজাহান কবির নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল খায়েরসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এসময় তিনি ওই জায়গায় সব ধরনের বেআইনী কার্যক্রম বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সার্ভেয়ার মো: মিজানুর রশীদ এর তৈরি প্রতিবেদনে দেখা যায়, মিউট মোকাদ্দমা নং ২৫/২০০৩-০৪ জেলা প্রশাসকের ১৭ মার্চ ২০০৫ ইং সনের আদেশ মতে জনৈক আবদুর রহমান থেকে ১ একর ৩০শতক জমি ১লক্ষ ২০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন আলহাজ্ব ফজল কবির। পরবর্তী উক্ত জমির মিউট মামলা পূর্বক জেলা প্রশাসকের চূড়ান্ত আদেশের মাধ্যমে আলহাজ্ব ফজল কবিরের নামে রেজিস্ট্রি দলিল ১৪/০৫ সৃজন হয়।

জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার আলহাজ্ব ফজল কবিরের ছেলে শাহজাহান কবির এ প্রতিবেদকে জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাঁর পিতা জমি কিনে তা বর্গা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভূমিদস্যুর দল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে রাতের আঁধারে তাদের জমিতে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ২৮ মে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

অপরদিকে, জমি জবর দখলের বিষয়ে আবদুর রহমান গং এর সাথে একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় সরেজমিন যাওয়া নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই মো: ফরিদ জানান, জমি জবর দখলের ঘটনা উল্লেখ করে মো: শাহাজাহান কবিরের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে উভয় পক্ষকে সোমবার থানায় তলব করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন