parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে সৃজিত লেবু বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া গ্রামে ছোট ভাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সৃজিত লেবু বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ করেন তারই বড় ভাই জাফর আলম।

সূত্রে থেকে জানা যায়, উক্ত জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদে সঠিক বিচার পেতে মামলা করেন জাফর আমল।

জাফর আলম বলেন, দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে তার দখলে থাকা ২ একর জমি দখলে নিতে তারই আপন ছোট ভাই আবুল শাহমা ও তার পবিরবার আমার উপর হামলা চালায়। এছাড়াও তাদের আশ্রয়- প্রশ্রয়ে থেকে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ১০ থেকে ১২ জনের বাহিনী নিয়ে বারবার জমি দখলে নিতে চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, আমার ছেলে মো ওসমান, তার স্ত্রী সজিনা বেগম, আমার বৃদ্ধ স্ত্রী রশিদা বেগমকে মারধর করে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বিচার চলাকালে, আমার ছেলে মো. ওসমানকে আবারও বেধড়ক মারধর করে। পিটিয়ে আহত করেন আবুল শাহমা ও তার দলবল। গত ১৬ অক্টোবর ২০২০ সালে আমার বাড়ির আঙিনায় এসে আমাকেসহ আমার পরিবারের সকলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। এতে আমার ছেলে ওসমানের মাথা ফেটে যায়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিরুপায় হয়ে আবু শাহমা, আবদুল করিম, আবদুল সালামসহ ৮ জনকে আসামি করে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছিলাম। যার মামলা নং সিআর ১৬৭/২০২০।

তিনি আরও বলেন, মামলা চলাকালে আবু শাহমা ও তার দলবল নিয়ে, গত ৫ জুলাই আমার সৃজিত লেবু বাগানে দুই দফাই হামলা চালিয়ে সম্পূর্ণ মাটিতে মিশিয়ে দেন। তাতে আমরা বাঁধা দিলে আমাদের জানে মেরে ফেলবে, গুম করে দেবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে । এছাড়াও বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি নিরুপায় হয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে গত ৬ জুলাই আবারো নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করি।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে আবু শাহমার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে জায়গা আমার বড় ভাই তার বলে দাবি করছেন সে জায়গার কোন ডকুমেন্ট তার কাছে নেই। বরঞ্চ বিরোধকৃত দুই একর জায়গার সম্পূর্ণ বৈধ কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জাফর আলম সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, দ্রুত স্থায়ী সমাধান না হলে, যেকোন মুহূর্তে আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করে বসতে পারেন আবু শাহমা এবং তার গ্রুপের লোকজন।

 

Exit mobile version