parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৪ জন, পাশের হার ৬৭.৭০

পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়িতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। আর মোট পাশ করেছে ৬০৮ জন শিক্ষার্থী। স্কুল অংশের ৬ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৪ পেয়েছে-১৫ জন। এখানে পাশের হার ৬৭.৭০ শতাংশ। যা নিয়ে অভিভাবক মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) প্রকাশিত নাইক্ষ্যংছড়ির ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল পর্যালোচনায় এ তথ্য বেরিয়ে আসে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো জানায়, এখানে ৪ কেন্দ্রে অংশ নেয় উপজেলার ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রগুলো হলো- নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ আহমদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র, নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট মাদরাসা ও ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র।

এ কেন্দ্র গুলোতে উপজেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তন্মধ্যে স্কুল অংশে ৭১৯ জনে পাশ করেছে ৫০১ জন আর মাদরাসা অংশে ১৭৯ জনে পাশ করেছে ১০৭ জন। স্কুলের পাশের হার ৬৫.৭৩ আর মাদরাসা কেন্দ্রে পাশের হার ৫৯.৭৭ শতাংশ। উভয় অংশের পাশের হার ৬৭.৭০ শতাংশ।

এ সব প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের-২ জন, নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট মাদরাসার ১ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ১ জন।

একাধিক অভিভাবক এ পার্বত্যনিউজকে জানান, এবারের পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে এ উপজেলায়।

প্রকাশিত ফলাফল পর্যালোচনা জানা গেছে, চাকঢালার ২ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসা ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র-২১ জন। চাকঢালা হাই স্কুলে ৬৫ জনে পাশ করেছে ২৮ জন শিক্ষার্থী। আর ঘুমধুমে ১৪৯ জনে ৯৫ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ.দ) সোহেল মিয়া বলেন, ফলাফল উন্নতিতে পাহাড়ি ও পিছিয়ে পড়া অত্র এলাকার জনশক্তিকে আরো সচেতন করতে অভিভাবক সমাবেশ করাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে আরো সজাগ করে এসব বিপর্যয় রোধ করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনিসহ কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও বেশ কর্মসূচি নিয়ে সামনের দিনগুলোর ফলাফল ভালো করতে যা যা করা দরকার, তার সবটুকু করতে উদ্যোগ নেবেন তিনি। নচেৎ বারবার এ হিসেব গুণতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।

Exit mobile version