parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে পুলিশের মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে আট গ্রাম পুরুষ শূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শুক্রবার ১৮ দলের কেন্দীয়্র ঘোষিত কর্মসূচী অংশ হিসাবে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নাইক্ষংছড়ির নেতা কর্মীরা। মিছিলটি সদর ইউনিয়নের বিছামারা থেকে শুরু করে নাইক্ষ্যংছড়ি বাজার হইয়ে রেষ্ট হাউস সড়ক দিয়ে পুরাতন বাস ষ্টেশনে পৌঁছলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় মিছিলকারীরা প্রধান সড়ক হয়ে অফিস কার্যালয়ে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ এতেও বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা ১৮ দলীয় নেতা কর্মীদের উপর শুরু হয় লাঠি চার্জ।। এতে ছাত্রদল সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ দলের ২০ নেতা কর্মী আহত হয়। এঘটনায় বিভিন্ন সময়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হামলার ঘটনা দ্রুত ইলেট্টনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে পুলিশ নিজেদের রক্ষার্থে উপজেলার জামায়াত ও বিএনপির ও অঙ্গসংগঠন এবং সাংবাদিককে জড়িতে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৭৬ জনকে আসামী করে এসআই খন্দাকার মো. ইব্রাহীম বাদী করে থানায় একটি মামলা দায়ের কর হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপি সভাপতি নূরুল আলম কোম্পানি সাংবাদিকদের জানান, ২৫ অক্টোবর পর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন, চাকঢালা, আশাড়তলী, সালামীপাড়া, চেরারকূল, বিছামারা, মসজিদ ঘোনা, মধ্যম বিছামারাসহ ৮ গ্রামে গ্রেপ্তার আতংঙ্কে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। পুলিশ প্রতিনিয়ত এসব গ্রামে হানা দিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সদর এলাকার মোস্তাক সওদাগরের বাড়ীতে দরজা ভেঙ্গে ঢুকে মালামাল তছনচ করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

নাকক্ষংছড়ি বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক উফোছা মার্মা, নাইক্ষ্যংছড়ি জামায়াতের সেক্রেটারী হাফেজ মোতাহেরুল হক জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সাধারণ মানুষকে। গণতান্ত্রিক দেশে বাকশালী শাসন কায়েমের চেষ্টা করে পুলিশকে ব্যবহার করছে এই অবৈধ সরকার।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশে উপর হামলার ঘটনায় এ মামলা রজু করা হয়ছে।

১৮ দল নেতারা পুলিশকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যহার ও নিরাঅপরাধ লোকজনকে হয়রানি না করার আহবান জানান।

Exit mobile version